দৃশ্যপট ডেস্ক:
একসময় ছিলেন পরিশ্রমে গড়া এক স্বপ্নবাজ মানুষ। মাথায় প্লাস্টিকের পাটির বোঝা, কাঁধে ঘাম, মুখে তৃপ্তির হাসি—এই ছিল ফরিদ মোল্লার পরিচয়। গ্রাম থেকে গ্রামে ঘুরে বেড়িয়ে পাটি বিক্রি করেই সংসার চালাতেন তিনি।
সুখ ছিল না, তবু শান্তি ছিল; অভাব ছিল, তবু ছিল আত্মসম্মান।
কিন্তু আজ সেই মানুষটিই শয্যাশায়ী, জীবনের প্রতিটি শ্বাস যেন মৃত্যুর সঙ্গে এক অনন্ত লড়াই।
সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের আটঘড়িয়া গ্রামের মৃত সোবহান মোল্লার ছেলে ফরিদ মোল্লা (৪৮) কয়েক মাস আগে জীবিকার তাগিদে বেরিয়েছিলেন পাটি বিক্রি করতে। পথে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন তিনি।
সেই দুর্ঘটনাই কেড়ে নিয়েছে তাঁর চলার শক্তি, কেড়ে নিয়েছে তাঁর কর্মক্ষমতা—যা ছিল তাঁর পরিবারের একমাত্র ভরসা।
এখন তিনি সম্পূর্ণ শয্যাশায়ী। নেই চিকিৎসার টাকা, নেই খাবারের নিশ্চয়তা। একদিকে অসহ্য শারীরিক যন্ত্রণা, অন্যদিকে সন্তানদের ক্ষুধার্ত মুখ—এই দুই দুঃসহ বাস্তবতা প্রতিদিন তাকে মানসিকভাবে ভেঙে দিচ্ছে।
চোখে পানি নিয়ে স্ত্রী বললেন, ভাত দিতে পারি না, ওষুধ কিনে দিতে পারি না। ওর চোখের দিকে তাকাতে ভয় হয়।
স্থানীয়রা জানান, ফরিদ মোল্লা ছিলেন সৎ, পরিশ্রমী ও সহৃদয় মানুষ। জীবনে কখনো কারো কাছে সাহায্য চাননি। আজ ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সেই মানুষই বেঁচে থাকার জন্য সমাজের দানশীল মানুষের দিকে চেয়ে আছেন।
সমাজসেবক কাজল দাস বলেন, ফরিদ মোল্লা আমাদের এলাকার সৎ ও পরিশ্রমী মানুষ। তাঁর চিকিৎসা ও সংসারের ভার এখন সমাজের সহৃদয় মানুষদেরই নিতে হবে। সবাই এগিয়ে এলে হয়তো নতুন করে বাঁচার সুযোগ পাবেন তিনি।
ফরিদ মোল্লার চিকিৎসা, খাদ্যসামগ্রী এবং নতুন করে ছোট ব্যবসা শুরু করার জন্য এখনই জরুরি মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।
একটু সহানুভূতি, সামান্য সাহায্য—এই মানুষটির জীবন বাঁচাতে পারে, ফিরিয়ে দিতে পারে তাঁর মুখের হারিয়ে যাওয়া হাসি, পরিবারের মুখে নতুন আশার আলো।
সহযোগিতা ও যোগাযোগ:
মোবাইল: ০১৭১৭-৪১২৭৫১