উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এক পাগলীর (মানসিক প্রতিবন্ধী) গর্ভে জন্ম নেওয়া সেই নবজাতক কন্যা শিশুটিকে দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন প্রায় ২৫ জন।
এদের মধ্যে স্থানীয় সমাজসেবা অফিসে সশীরে এসেই আবেদন করেছেন ১৫ দম্পতি। এছাড়াও অনলাইনে যোগাযোগ করেঝেন আরও ৮ দম্পত্তি
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শিশুটি আমাদের তত্ববধানে সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে। এ পর্যন্ত অফলাইন ও অনলাইনে প্রায় ২৩ জনের মতো আবেদন করেছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাইগ নিঃসন্তান দম্পতি।
আবার কোন কোন পরিবারে ছেলে সন্তান রয়েছে। কিন্তু তারা মেয়ে সন্তানের অভাব পূরণের জন্য শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইছেন। আমরা যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত ও যোগ্য দত্তকগ্রহীতার কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করব।
সোমবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উল্লাপাড়া পৌর এলাকার শ্যামলীপাড়া মহল্লায় কেয়া হাসপাতালের সামনে ফুটপাতে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন মানসিক প্রতিবন্ধী এক নারী। এরপর শিশুটিকে রেখে চলে যান।
কেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. লুৎফর রহমান বলেন, পথচারিরা এসে খবর দেন সরু রাস্তার পাশে নবজাত শিশুটি পড়ে আছে। খবর পেয়ে নার্স পাঠিয়ে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরপর থানা, সমাজসেবা অফিস ও মহিলা এবং শিশু বিষয়ক কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়। বর্তমানে সমাজসেবা অফিসের তত্বাবধানে কেয়ার হাসপাতালের নার্সরা দেখাশোনা করছেন। হাসপাতাল কর্মীরা শিশুটিকে ফরহা নামে ডাকছেন যার অর্থ আনন্দ।
এদিকে, এই শিশুটির বাবা কে তা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, দত্তক নেওয়ার আবেদনকারীদের তালিকা সমাজসেবা অফিসে রয়েছে। যোগ্য কেউ থাকলে তার কাছে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় শিশুটিকে দেওয়া হবে।