সাব্বির মির্জা, তাড়াশ(সিরাজগঞ্জ)
২৫ বছরের ও হয়নি এমপিও ভূক্ত দিঘীসদগুনা এম.এ.আর নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়টি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার চলনবিলের প্রাণকেন্দ্রের অবস্থিত দিঘীসদগুনা এম.এ.আর নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়টি এমপিও ভূক্তির সকল শর্ত পূরণ থাকা থাকা সত্বে ও দীর্ঘ ২৫ বছরেও এমপিও ভূক্ত হয়নি।
এমপিও ভূক্ত না হওয়ার কারণে হতাশ হয়ে পড়েছে অত্র স্কুলে কর্মরত ৯ জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারীবৃন্দ। এদের সকলেই বেতন ভাতা না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে অধিকতর মানবেতর জীবন যাপন করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, এমপিওর আশার বাণী শুনতে শুনতে আমাদের সকলের অবস্থা বর্তমানে খুবই নাজুক যা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না, দোকানদারগণ এখন আর আমাদের কাউকে বাঁকি দেয়না। কারণ তাদের ধারণা আমরা যথাসময়ে তাদের টাকা পরিশোধ করতে পারবো না।
তার তথ্যমতে, দিঘীসদগুনা এম.এ.আর নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়টি ২০০০ ইং সনে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। প্রতিষ্ঠা লগ্œ থেকে খুবই সুনামে সাথে প্রত্যেক বছর এ বালিকা বিদ্যালয় থেকে জে.এস.সি পরীক্ষায় মেয়েরা অংশগ্রহণ করে ভাল ফলাফল করে আসছে। প্রতি বছরের ন্যায়-২০১৩ ইং সনে অত্র নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় হতে ১৫ জন ছাত্রী জে.এস.সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তারমধ্যে ১২ জন ছাত্রী পাশ করেছে। চলনবিলের একমাত্র নারী শিক্ষার প্রতিষ্ঠানটি গ্রাম্য নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, তা সত্তে¡ও অদ্যবধি এমপিও ভূক্ত না হওয়ায় স্কুলে কর্মরত শিক্ষক/কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
তথ্য অনুসন্ধানে কথা হয় অত্র নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি জনাব মির্জা আব্দুর রশীদ মাহমুদ বকুল এর সাথে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটি এমপিও ভূক্তির সকল শর্ত পূরণ করে জে.এস.সিতে ভাল ফলাফল করে আসছে মেয়েরা অথচ এমপিও ভূক্ত না হওয়ায় শিক্ষক/কর্মচারীরা হতাশ হয়ে পড়েছে। তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, হয়তো শীঘ্রই বর্তমান সরকার শিক্ষক/কর্মচারীদের এ অক্লান্ত পরিশ্রমের মূল্য হিসেবে দিঘীসদগুনা এম.এ.আর নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত করবেন।
অত্র নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক/কর্মচারী ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গগণ অন্তর্বতী সরকারের কাছে বিদ্যালয়টি এমপিও ভূক্তি আকুল আবেদন জানিয়েছেন।