চৌহালী(সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
যমুনা নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘূর্ণাবর্তের কারণে হঠাৎ করেই সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা রক্ষায় যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার খাষকাউলিয়া ইউনিয়নের চৌদ্দরশি ঘাট এলাকায় এ ধস শুরু হয়। এতে মুহূর্তের মধ্যেই প্রায় ৫০ মিটার তীর সংরক্ষণ বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সাঈদ জানান, আজ ভোরে আমরা দেখতে পাই বাঁধের ব্লক গুলো ধসে যাচ্ছে। বছরের পর বছর যমুনার ভাঙনে এই অঞ্চলের মানুষ একেবারে নিঃস্ব। হঠাৎ উপজেলা রক্ষা বাঁধে ধস দেখে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। জানাযায়, ২০১৭ সালে ১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চৌহালীর যমুনার তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই অনেক স্থানে ধ্বসে যায়। গত আট বছরে বাঁধের ১৩ টি স্থানে ধস দেখা দিলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড ধসে যাওয়া স্থান মেরামতের কোন উদ্যোগ নেয়নি। এতে করে বাঁধ নির্মাণের পর থেকেই বাঁধটি ঝুঁকিতে রয়েছে। আর যমুনায় কয়েক দফা পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার নদীর পানি কাজিপুর পয়েন্টে ১৫ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসিমার ১৩৫ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্টে ১১ সি.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সিমার ১১০ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে চৌহালী উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী সোলায়মান ভূইয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছি, ধস ঠেকাতে জরুরি কাজ শুরু করা হবে। এ নিয়ে তেমন আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
বাঁধ ধসের খবর পেয়ে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)। পরিদর্শন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পানি বৃদ্ধি ও স্রোতের কারনে চৌহালীর তীর সংরক্ষণ বাঁধের ব্লক সহ জিওব্যাগ নদী গর্ভে চলে যায়। দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহনে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন মহলকে অবগত করা হয়েছে। বাঁধের ক্ষতি হয় এমন কাজ না করতে নদীর তীরবর্তী মানুষকে সচেতন করেন তিনি।