রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর :
নীলফামারীর উত্তরা এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনে (ইপিজেড) শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ১২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত শ্রমিকের নাম হাবিবুর রহমান (৩২)। তিনি ইকু ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি নিটিং কারখানায় কর্মরত ছিলেন।
গত শনিবার থেকে এভারগ্রিন কোম্পানির শ্রমিকরা ২৩ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে জেনারেল ম্যানেজারের পদত্যাগ,পুরাতন শ্রমিকদের ছাঁটাই বন্ধ ও পূর্বের লে-অফ ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা নমাজের সময় নিশ্চিত করা,স্যালারি কার্ড বাতিল করা,পূর্বের আইডিতে শ্রমিকদের পুনর্বহাল।
শ্রমিকদের অভিযোগ, দুই মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হয়নি। এর মধ্যে সোমবার রাতে হঠাৎ মাইকিং করে ঘোষণা দেওয়া হয় যে এভারগ্রিন কোম্পানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করতে গিয়ে গেটে বন্ধের নোটিশ দেখতে পান। পরে তারা ইপিজেডের সামনে সড়কে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনী শ্রমিকদের সরে যেতে বললে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ ও গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ শ্রমিকদের।
শ্রমিক সাদিকুল ইসলাম বলেন,অফিস বন্ধ অথচ তাদের লোকজন ভেতরে যাচ্ছে, বেরও হচ্ছে। শ্রমিকদের সমস্যা হলে আমরা কোথায় বিচার চাইবো? বেপজার কাছে অভিযোগ দিলে সমাধান হয় না।
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তানজিরুল ইসলাম ফারহান জানান,হাবিবুর রহমানকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার বুকে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা সম্ভব নয়।
ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য জানতে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর সাঈদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।