সাব্বির মির্জা, (তাড়াশ) প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জে তাড়াশে ১৮৭৫ইং সালে নির্মিত চৌধুরীপাড়া জামে মসজিদ রয়েছে। প্রায় ১৫০ বছর পূর্বে নির্মিত মোঘল আমলে তৈরি দেল মাহমুদ চৌধুরী জামে মসজিদ এক প্রাচীন স্থাপত্যের নাম।
তাজমহলের আদলে নির্মিত এ মসজিদটি উপজেলার বারুহাস গ্রামের চৌধুরীপাড়ায় অবস্থিত। ১৮৭৫ সালে মসজিদটি নির্মাণ করেন বারুহাস
গ্রামের সম্ভ্রান্ত চৌধুরী পরিবারের প্রয়াত দেল মাহমুদ চৌধুরী।
সরজমিন দেখা যায়, আনুমানিক ৪ শতক জায়গায় তৈরি মসজিদটির পশ্চিম পাশে আছে ফসলের মাঠ। মসজিদের দক্ষিণে আছে প্রাচীনকালের চৌধুরী বাড়ি। পূর্ব পাশে রয়েছে ভদ্রপতি খাল। এ ছাড়া মসজিদের ছাদে শোভা পেয়েছে বড় তিনটি গম্বুজ । মসজিদের ভেতরের দেয়ালে পোড়া মাটির বিভিন্ন কারুকাজে নির্মিত নানা রকম নকশা যা সবার নজর কাড়ে। মসজিদের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, মূল মসজিদটির আকার খুবই ছোট। নির্মাণকালীন সময়ে তিন কাতার মুসল্লি ধারণ ক্ষমতা রেখেই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
স্থানীয় মুসল্লিরা জানান, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারাকে লালন করে দাঁড়িয়ে আছে দৃষ্টিনন্দন প্রাচীন দেল মাহমুদ চৌধুরী জামে মসজিদটি। যার সৌন্দর্য দেখার জন্য এখনো দূর-দূরান্ত থেকে শত শত দর্শনার্থী ভিড় জমায়। স্থানীয় বাসিন্দা রক্তিম চৌধুরী জানান, ১৮৭৫ সালে আমাদের গ্রামে এ মসজিদটি প্রয়াত দেল মাহমুদ চৌধুরী নির্মাণ করেছিলেন। আমাদের পূর্বপুরুষেরা এই মসজিদে নামাজ আদায় করেছেন। বর্তমানে আমরাও নামাজ আদায় করছি। মসজিদটি সরকারি উদ্যোগে সংস্কার করে সংরক্ষণ করা গেলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এ মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারবে।
মসজিদটির বর্তমান ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা মো খলিলুর রহমান জানান, আমি কিছুদিন আগে থেকে এই মসজিদের ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করছি। আমি এসে শুনেছি এ মসজিদের প্রায় ১৫০ বছর হয়ে গেছে। এটা শুকরিয়া আদায়ের বিষয়, আলহামদুলিল্লাহ। এত পুরোনো একটি মসজিদে ইমামতি করতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মো নাছিম চৌধুরী জানান, বারুহাসের এই মসজিদটি আমাদের গ্রামের ঐতিহ্য, আমাদের গর্বের বিষয়। সরকারি অনুদান পেলে মসজিদটি সংস্কার ও মেরামত করা যেত।