মেহেরপুর প্রতিনিধি:
মেহেরপুরের গাংনীর হিন্দা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি মনোনয়ন প্রস্তাবনা পত্রে জোর পূর্বক স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কৃষকদল নেতার বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৭ মার্চ) সকালে হিন্দা গ্রামের এইচএমএইচভি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিমকে তুলে নিয়ে প্রস্তাবনা পত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান সহ তার কয়েকজন সহযোগী।
হিন্দা এইচএমএইচভি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম বলেন, আমাকে জোর করে বাজার থেকে তুলে নিয়ে প্রস্তাবনা পত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছে জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান, জুয়েল রানা ও সিদ্দিক।
গত ৫ই মার্চ এইচএমএইচভি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি প্রস্তাবনা পত্রে আমি আনিসুজ্জামান, সিরাজুল ইসলাম ও আব্দুল মান্নানের নাম লিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জমা দিই। সেই প্রস্তাবনা পত্র গত ১১ই মার্চ উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বাক্ষর করে জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠিয়ে দেয়।
হঠাৎ সোমবার সকালে জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমানসহ তার সহযোগীরা আমাকে হুমকি দিয়ে নতুন প্রস্তাবনাতে জোর করে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে ইউএনও অফিসে জমা দিয়ে নেয়। নতুন প্রস্তাবনাতে জুয়েল রানা,
শারমিন সুলতানা ও শরিফুল ইসলামের নাম রয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক বলেন, কমিটির বিষয়ে আমাদের কোন কাজ থাকেনা, সেজন্য বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে শুনেছি কমিটি কয়েকদিন আগে হয়ে গেছে।
এব্যাপারে কথা বলতে জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমানের ব্যবহৃত নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রীতম সাহা বলেন, আজ সোমবার আমার অফিসে প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম নিজেই তার বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে এসে আমাকে বলেন আগের কমিটির নাম বাতিল করে নতুন কমিটির নাম পাঠিয়ে দিতে। তিনি জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেওয়া কিংবা হুমকি ধামকির বিষয়ে আমাকে কিছু জানায়নি। তবে এমনটা ঘটলে তিনি থানা পুলিশের মাধ্যমে আইনী সহায়তা নিতে পারেন