দৃশ্যপট ডেস্ক:
সিরাজগঞ্জে একটি বেসরকারি সংস্থার কার্যালয়ের তালা ভেঙে অনধিকার প্রবেশ করে ভাঙচুর ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সমাজসেবা অফিসারের বিরুদ্ধে।
বুধবার (৫ মার্চ) বিকেলে সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ইডিপি’র নির্বাহী পরিচালক মো. আবু জাফর খান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইডিপি) শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয়ন, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান, বেকারত্ব দূরীকরণ, ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসাসেবা প্রদানসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের তৃতীয় তলা তৎকালীন ইউএনও’র কাছ থেকে চুক্তির ভিত্তিতে ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক মাসের মধ্যে অফিস ছাড়ার সময়সীমা বেঁধে দেন। আমি তার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে লিখিত ও মৌখিক ভাবে যৌক্তিক সময় প্রার্থণা করি। কিন্তু তিনি আমাকে কোন প্রকার সময় প্রদান না করে অফিসে তালা লাগিয়ে দেন। বিষয়টি নিয়ে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং প্রসাশনের কর্মকর্তাবৃন্দ সুপারিশ করলেও তিনি অগ্রাহ্য করেন। ওই সময় অফসিরে লাইট, ফ্যান, এসি ও প্রশক্ষিণে ব্যবহৃত কম্পউিটার, টিভি মনিটর ও অন্যন্য যন্ত্রপাতি চালু ছিল।
বাধ্য হয়ে আমি উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত আমাকে প্রথমে ৬ মাস সময় দেন। এরপর আমি অফিস খুলে দেখি সংস্থার প্রায় সকল মেশিনারিজ নস্ট হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আদালতের দেওয়া সময়ের আগেই আবারও সময় প্রার্থনা করি। বিচারক আরও তিন মাসের সময় দেন। বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে অবগত করেছি।
এ অবস্থায় আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে গত সোমবার (৩ মার্চ) বিকেলে আমাদের অনুপস্থিতিতে অফিসের তালা ভেঙে ঢুকে ভাঙ্গচুর ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, সম্পদ নষ্ট করে নতুন তালা লাগিয়ে দেন ইউএনও এবং উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা।
ইউএনও’র বিরুদ্ধে অনধিকার প্রবেশ করে ভাংচুরসহ বে আইনী কার্যক্রমের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবী করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এনডিপির নির্বাহী পরিচালক আলাউদ্দিন খান, শার্পের সভাপতি শওকত হোসেন, সুখ এর নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন এনজিওর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনোয়ার হোসেন জানান, হাইকোর্টের আদর্শে তাকে ৬ মাস সময় আমরা দিয়েছিলাম। তখন সেখানে সে অফিস করেছে। হাইকোর্ট যদি তাকে আরো সময় দেয় আমরা অফিস খুলে দেব। আমি অফিসিয়ালি হাইকোর্টের কোন কাগজ হাতে পাইনি।
অফিস ভাঙচুর ও নথিপত্র নষ্টের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি তথ্যপ্রমাণ দেখাতে বলেন।