দৃশ্যপট ডেস্ক:
টানা এক সপ্তাহ ধরে বয়ে চলা ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে যমুনাপারের জেলা সিরাজগঞ্জের মানুষ। গরমে নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যহত হয়ে পড়েছে। আয় কমে বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবি মানুষগুলো। জেলা সদরের বিপনী বিতানগুলোতেও কমে গেছে ক্রেতাদের ভীড়।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাজগঞ্জের তাড়াশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও শাহজাদপুরের বাঘাবাড়িতেও একই তাপমাত্র রেকর্ড হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্র সিলেটে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রার পাশাপাশি বাতাসের আদ্রতাও অনেক বেশি। সেই সাথে সূর্যের তাপের প্রখরতা গরমের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে।
আফজাল, ছফের আলী, নজরুলসহ একাধিক রিকশা শ্রমিক বলেন, গরমের কারণে শহরে মানুষই বের হচ্ছে না। এ জন্য ভাড়াও তেমন নাই। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কারও ১শ টাকাও রোজগার হয় নাই। এভাবে চললে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়বে।
শহরের এস এস রোডস্থ বেশ কয়েকটি বিপনী বিতানের মালিকের সাথে কথা বললে জানান, সারাদিনে একজন দুজন গ্রাহকও আসে না। দোকান খুলে বসে থাকি কাস্টমার নেই। আসলে গরমে মানুষ ঘর থেকে বের হওয়ার সাহস পাচ্ছে না।
তাড়াশ আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা বেশি রয়েছে। তবে গতকালের চেয়ে আজকে একটুক কম। সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে আগামি দুই তিন দিন তাপমাত্রা সহনীয় থাকতে পারে।