জহিরুল ইসলাম,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
ঢাক-ঢোল পিঠিয়ে একটি ইউনিয়নের তিনভাগের একভাগ জনসংখ্যা নিয়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় গঠন করা হয় বরগুনার আমতলী পৌরসভা যা তৃতীয় শ্রেণী থেকে বর্তমানে প্রথম শ্রেণীতে উত্তোরিত হয়েছে অথচ বিধিবিধানের তোয়াক্কা না করে সঠিক জনসংখ্যা, ভোটার, এলাকা ও পর্যাপ্ত অবকাঠামো কোন কিছুই বিবেচনায় নেয়া হয়নি। ফলে সাধারণ নাগরিক সবসময়ই রয়েছে সুবিধা বঞ্চিত।
পৌরসভায় নেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোন ব্যবস্হা ফলে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলায় জনসাধারণের পথ চলতে হয় নাক চেপে। এছাড়াও রয়েছে নিরাপদ পানি ও বিদ্যুৎ সহ নানাবিধ সমস্যা। সম্প্রতি এমনই বঞ্চনার শিকার পৌরভবনের দুই শত গজের মধ্যে ২নং ওয়ার্ডের পল্লবী আবাসিক এলাকার কয়েকটি পরিবার।
তাদের অভিযোগ এটি নামেই প্রথম শ্রেণির পৌরসভা, অথচ জন ভোগান্তির শেষ নেই। এই পৌরসভায় বসবাসকারী জনসাধারণ দেশের অন্য এলাকার গ্রামের চেয়েও চরম অবহেলিত ও উন্নয়ন বঞ্চিত।
সরোজমিনে আজ ২ নং ওয়ার্ড পল্লবী আবাসিক এলাকায় গেলে দেখা যায় কয়েকটি পরিবারকে বৃষ্টি শুরু হলেই জলাবদ্ধতায় পতিত হতে হয়। এমনকি বাসার মধ্যে থৈথৈ করছে বৃষ্টির পানি। পল্লবী এলাকার নূর মোহাম্মদ মাস্টারের কন্যা জাকিয়া সুলতানা এর বাসায় গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টি শুরু হওয়া মাত্রই বৃষ্টির প্রভাবে জমা পানিতে বসত ঘরের চারপাশ জমা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। রান্নাঘর ও শৌচাগার ডুবে যাওয়ায় পরিবারটির দৈনন্দিন জীবনযাত্রা থমকে গেছে। এ রকম জলাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে আশেপাশের অনেকগুলো পরিবার। স্থানটিতে পৌরসভার বহু বছর পূর্বে নির্মিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও, নতুন অনেক পাকা স্থাপনা অপরিকল্পিতভাবে তৈরি করায় পানি চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বছরের ছয় থেকে সাত মাস স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে নিদারুন দুর্ভোগ এ পতিত করেছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে। জলাবদ্ধতা নিরশনের স্থায়ী সমাধান চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো একাধিকবার পৌর কর্তৃপক্ষকে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার পাননি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পার্শ্ববর্তী কয়েকজন প্রভাবশালী লোকজন পানি নিষ্কাশনের পথ রোধ করে স্থাপনা তৈরি করায় প্রাকৃতিক বৃষ্টির পানি সহ দৈনন্দিন ব্যবহার্য পানি ও পয়ো:বর্জ নিষ্কাশন সম্ভব না হওয়ায় মারাত্মক দুর্গন্ধ ও দূষণের শিকার হচ্ছেন।
সদ্য সাবেক কাউন্সিলর মুসা মোল্লা বলেন, এ নিয়ে তিনিও পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার জলবদ্ধতা নিরশনের চেষ্টা করলেও কোন প্রতিকার পাননি।
আমতলী পৌরসভার উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ রুবেল খান এ বিষয়ের সত্যতা স্বীকার করে পৌর প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে জলাবদ্ধতা নিরশনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার চেষ্টা করবেন বলে জানান।