ফজলে রাব্বী,নলডাঙ্গা(নাটোর)প্রতিনিধিঃ
নাটোরের নলডাঙ্গায় এবার অভিনব কায়দায় রাতের আঁধারে বৈদ্যুতিক মিটার চুরি শুরু করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা যোগাযোগের জন্য একটি চিরকুটে মোবাইল নম্বর লিখে রেখে গেছে। ওই মোবাইল নম্বরে বিকাশে অথবা নগদে মিটার প্রতি ৭-৫-৩ হাজার টাকা পাঠালে মিটার ফেরত দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। টাকা দিলেও মিটার ফেরত না দিয়ে আরও টাকার দাবি করছে,চোর চক্র।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার মাধনগর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এভাবে চুরির ঘটনায় জনমনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এই উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকসংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার আর ট্রান্সফরমার রয়েছে প্রায় ৩ হাজার। গত বছর উপজেলার হালতিবিল ও ব্রহ্মপুর ইউনিয়নে থেকে বেশ কিছু ট্রান্সফরমার ও শ্যালো মেশিন চুরি হয়েছে। তখন থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন,উপজেলার গ্রাহকরা।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান,রবিবার রাতে মাধনগর বাজারে কহির প্রামাণিকের বরফ মিলের একটি বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হয়েছে। আর মিটারের জায়গায় একটি চিরকুট লিখে মোবাইল নম্বর দেয়া হয়েছে। টাকা দিলেও মিটার ফেরত না দিয়ে আরও টাকার দাবি করছে,চোর চক্র। এটি আতঙ্ক বিরাজ করছে পুরো এলাকায়। চোর চক্রটি থেকে বাঁচতে প্রসাশনের সহায়তা চেয়েছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বরফ মিলের মালিক কহির সরদারের ছেলে বিদ্যুত সরদার জানান,মাধনগর বাজারে আমাদের বরফ মিল থেকে রাতের আঁধারে বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। নিচে কাগজে চিরকুটে একটি মোবাইল নম্বর লিখে রেখে গেছে তারা। সকালে মিটার চুরি হয়ে যাওয়ার স্থান থেকে প্রাপ্ত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে ওই মিটারের জন্য প্রথমে ৭ হাজার পরে ৫ টাকা বিকাশ করলে মিটার ফেরত দেয়ার কথা বলে আবার ২ হাজার টাকা চায় চোর চক্র। তবুও মিটায় ফেরত দেয়নি চক্রটি।
নলডাঙ্গা সাব-জোনাল অফিসের এজিএম মোঃ আল ইমরান আহমেদ জানান,আমরা মিটার চুরির বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। চুরি ঠেকানো প্রসঙ্গে আমরা বিভিন্ন সময়ে গ্রাহকদের পরামর্শ প্রদান করে থাকি। চুরি রোধে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবো। গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে আমাদের সব রকম প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা মোঃ মাহাবুর রহমান বলেন,মিটার চুরির বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি,তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।