নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিরাজগঞ্জের আদালতে অনিয়ম দূর্নীতির মাধ্যমে কর্মচারি নিয়োগ করা হয়েছে দাবী করে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সিরাজগঞ্জের সাবেক জেলা ও দায়রা জজ (বর্তমানে রংপুর জেলা ও দায়রা জজ) ফজল-এ-খোদা নাজিরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) আইনজীবি এ্যাড. মো. হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর এই অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত অন্য তিনজন হলেন, তৎকালীন সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বর্তমানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এর বিচাররক মোছা. সালমা খাতুন, সিরাজগঞ্জের তৎকালিন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ তানভীর আহম্মেদ ও তৎকালিন সিনিয়র সহকারী জজ নিজাম উদ্দিন ফরাজী।
অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, ২০২২ সালে সিরাজগঞ্জ জজ আদালত ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়ো করা হয়। নিয়োগ পাওয়া ৩৪ জন কর্মচারির মধ্যে ২২ জনই ছিল ব্রাহ্মনবাড়িয়া ও কুমিল্লা জেলার।
সাবেক আইন মন্ত্রী আনিসুল হক সিরাজগঞ্জের তৎকালিন জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির, নিয়োগ কমিটির সভাপতি তৎকালিন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোছা. সালমা খাতুন, নিয়োগ বাছাই ও পরীক্ষা গ্রহন সংক্রান্ত কমিটির সদস্য ততকালীন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ তানভীর আহম্মেদ ও সিরাজগঞ্জ সদরের সিনিয়র সহকারী জজ নিজাম উদ্দিন ফরাজীর যোগাসাজসে ওই নিয়োগ ব্যাপক আর্থিক লেনদেন করা হয়। কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিয়োগ প্রদান করা হয়। বিষয়টি নিয়ে সিরাজগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
নিয়োগের দায়িত্বে থাকা প্রাপ্ত বিচারকরা নিজেদের খাস কামড়ায় বসিয়ে পছন্দের ব্যক্তিদের গোপন পরীক্ষা নেয়। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। তাই ওই নিয়োগ বাতিল করে সাবেক আইনমন্ত্রীসহ চার বিচারকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়।
অভিযোগকারী এ্যাড. হুমায়ুন কবির বলেন, আমি নিজে দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ৪ বিচারকের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। অভিযোগটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় পাবনার উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হক বলেন, ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ করা হলে তার কপি এখনো আমাদের কাছে আসেনি। অভিযোগের কপিটা হাতে পেলে আমরা তদন্ত শুরু করবো।