মীর্জা অপু ,পাবনা:
পাবনার বেড়া উপজেলার ঢালারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভৌত বিজ্ঞান শিক্ষক আব্দুল আলিম মোল্লার বিরুদ্ধে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির বিষয়টি বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।তারা অভিযুক্ত শিক্ষককে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল আলিম মোল্লা সে সাগরকান্দি ইউনিয়নের ভাগলপুর গ্রামের মৃত আবদুল জলিল মোল্লার ছেলে।
ঢালারচর বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী আবির হাসান মাসুদ বলেন,আমি ২০১৭ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি এই বিদ্যালয়ে তারও আগে থেকে ছাত্রীদের সাথে এরকম যৌন নির্যাতন করে আসছে এই শিক্ষক।আমি এই বিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হিসেবে দাবি জানাই চরিত্রহীন লম্পট শিক্ষক আব্দুল আলিম মোল্লা যার কাছে ছাত্রীরা নিরাপদ না তাঁকে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হোক।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) তিনি বলেন,বাবার পরেই একজন শিক্ষকের স্থান।আমরা তাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ালেখা করার জন্য বিদ্যালয়ে পাঠাই।আর সেই বাবার মতো একজন শিক্ষক যদি মেয়েতুল্ল ছাত্রীর সাথে অশোভন আচরণ করে এর থেকে কষ্টের কিছু হয় না।আর জেনো এমন নেক্কার ঘটনা এই বিদ্যালয়ের কোনও ছাত্রীর সঙ্গে না হয় তার জন্য আমি এই লম্পট শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করছি।
এদিকে ঢালারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন ১১ সেপ্টেম্বর ঘটনার দিন তিনি বিদ্যালয়ের কাজে বেড়া উপজেলায় ছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ফোনে জানতে পারি ভৌত বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আব্দুল আলিম মোল্লা তিনি অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ডেকে অশোভন কথাবার্তা এবং কুপ্রস্তাব দিয়েছেন।বিষয়টি তাৎক্ষণিক সেই ছাত্রী তার অভিভাবককে জানালে তিনি আমাদের নিকট অভিযোগ করেন শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ বলেন,ইতিমধ্যে ইউএনও মহাদয়কে ঘটনার বিষয়টি জানিয়েছি এবং ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তাঁকে শোকজ করার প্রক্রিয়া চলছে।
ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য একাধিক চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোরশেদুল আলম বলেন,ঢালারচর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক দারা ছাত্রী যৌন হয়রানির ঘটনার বিষয়ে অবগত হয়েছি। ইতোমধ্যে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমিনপুর থানায় জিডি করেছে।অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে এবং ম্যানেজিং কমিটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এরপরও ভিকটিম অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইলে করতে পারে।