রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়নে টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। ইউনিয়নের চান্দের পাইকড়া, বিনোদ বাড়ি, দোস্ত পাড়া,বাকাই , বন্দিহার ও ফরিদপুর গ্রামের শত শত বিঘা আবাদি জমি এখন পানির নিচে। এতে রোপা আমন চাষাবাদে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন এসব এলাকার কৃষক।
স্থানীয় কৃষকদের আশঙ্কা, সময়মতো পানি অপসারণ না হলে ধান, পাটসহ মৌসুমি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। অনেক জমির চারা ইতোমধ্যেই নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষক আবুল হোসেন বলেন, “পানি নামার ব্যবস্থা নেই, ড্রেজিংও হয় না।”
এ অবস্থার জন্য এলাকাবাসী দায়ী করছেন অপরিকল্পিত পুকুর খনন এবং সুষ্ঠু পানি নিষ্কাশনের অভাবকে।
তারা জানান, ব্যক্তি উদ্যোগে যেখানে-সেখানে পুকুর খননের ফলে প্রাকৃতিক খাল ও জলাধারগুলো কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এতে ভারী বৃষ্টির পানি জমে থেকে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা।
বিনোদ বাড়ী গ্রামের বাসিন্দা রহিচ উদ্দিন বলেন, “পুকুর খুঁড়ে রাস্তার পাশে বাঁধ দিয়েছে। পানি বের হবার কোনো জায়গা নেই।”
আরেক কৃষক আব্দুল মালেক জানান, “ছোট খাঁড়ি একসময় খনন করা হলেও এখন তা কচুরিপানা ও পাড়ের ধসে সংকুচিত হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় তা দিয়ে পানি বের হচ্ছে না।” ছোট ছোট কালভার্ট মুখে মাটি দিয়ে ভরাট করা। পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা না করলে সময় মতো ধান রোপন করা যাবে না।
এ বিষয়ে ধামাইনগর ইউনিয়নের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, তারা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন এবং উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, “অবৈধ পুকুর খননের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি কৃষি জমিতে জমে থাকা পানি দ্রুত নিষ্কাশনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”