নিউজ প্রতিনিধি:
দীর্ঘদিন ধরে সংবাদপত্র ও অনলাইন গণমাধ্যমে সক্রিয়ভাবে কাজ করা সিরাজগঞ্জের প্রথিতযশা সাংবাদিক স্বপন চন্দ্র দাস বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় নর্থবেঙ্গল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কিডনি, দুর্বলতা ও একাধিক শারীরিক জটিলতা নিয়ে সম্প্রতি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রবিবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় সাংবাদিক স্বপনের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে তার শয্যাপাশে ছুটে যান সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের একটি প্রতিনিধি দল। প্রেসক্লাবের সভাপতি খান হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ইন্নার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যসহ একাধিক সিনিয়র সাংবাদিক।
প্রেসক্লাব নেতারা হাসপাতালে গিয়ে তার চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং চলমান চিকিৎসার ধরণ ও অগ্রগতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নেন। তারা স্বপন চন্দ্র দাসের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
স্বপন চন্দ্র দাস সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত আছেন প্রায় দুই দশক ধরে। বর্তমানে তিনি জাতীয় দৈনিক কালবেলা জেলা প্রতিনিধি, অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজ২৪.কম, সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে প্রকাশিত দৈনিক প্রতিদিনের দৃশ্যপট পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
এবং স্থানীয় গণমাধ্যমে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছেন। তাঁর লেখনী যেমন সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরে, তেমনি মানুষের দুঃখ–দুর্দশার প্রতিও সংবেদনশীল। মানবিক সাংবাদিকতা চর্চায় তিনি নিজেকে প্রতিনিয়ত নিয়োজিত রেখেছেন।
তাঁর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবরে সিরাজগঞ্জের সাংবাদিক মহলে গভীর উদ্বেগ ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাঁর সুস্থতা কামনায় সহকর্মী, বন্ধুবান্ধব ও শুভানুধ্যায়ীরা নানা বার্তা দিচ্ছেন।
হাসপাতালে উপস্থিত প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ বলেন,
“স্বপন দা শুধু একজন সাংবাদিক নন, তিনি আমাদের পরিবারের একজন সদস্যের মতো। তাঁর এই কঠিন সময়ে আমরা কেউই পাশে না থেকে থাকতে পারি না। প্রেসক্লাব সব সময় তাঁর চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তায় পাশে থাকবে।”
তাঁর পরিবার সকলের কাছে স্বপনের দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া চেয়েছেন। সাংবাদিক সমাজও এক কণ্ঠে বলেছে—একজন সাহসী কলমযোদ্ধা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে আবারও সংবাদজগতে ফিরে আসেন, এটাই সবার প্রার্থনা।
স্বপন চন্দ্র দাস সেইসব মানুষের একজন, যাঁরা দায়িত্ববোধকে হৃদয়ে ধারণ করে সাংবাদিকতা করেন। তাঁর এই কঠিন সময় আমাদের সবাইকে আবারও মনে করিয়ে দেয়—এই পেশার মানুষগুলোর প্রতি সমাজ ও রাষ্ট্রেরও কিছু দায় আছে।
সাংবাদিক স্বপন চন্দ্র দাসের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আমাদের কলমের সহযোদ্ধা যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন এবং আবারও সংবাদ সংগ্রহে ছুটে চলেন—এই কামনাই সকলের।