রায়গঞ্জ ( সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি:
বয়সের ভারে নুয়ে পড়া দুখুনি মাহাতোর জীবন যেন থমকে গেছে এক অসহায় দেয়ালে। সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়নের ক্ষিরতলা গ্রামের এই বৃদ্ধা একসময় ছিলেন ছয় ছেলে ও তিন মেয়ের গর্বিত জননী। সবাই এখন নিজের সংসারে ব্যস্ত। মায়ের প্রতি কর্তব্যের সে আগ্রহ কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। ফলে আজ একা, নিঃসঙ্গ দুখুনি মাহাতো পড়ে আছেন জরাজীর্ণ কুঁড়েঘরের এক কোণে।
দুঃসহ বাস্তবতার নির্মম রূপ—দীর্ঘদিন ধরে তার শরীরের ডান পাশ প্যারালাইসড। এখন আর নিজের শক্তিতে বিছানা থেকে উঠতে পারেন না তিনি। হাঁটা তো দূরের কথা, কারও সহযোগিতা ছাড়া এক গ্লাস পানি নেওয়াটাও তাঁর কাছে দুঃসাধ্য। এমন অসহায় অবস্থার মধ্যেই প্রতিটি দিন কাটে তাঁর।
দারিদ্র্যের কারণে তার সুচিকিৎসার কোনো ব্যবস্থাই করা সম্ভব হয়নি। থাকার ঘরটিও ভাঙাচোরা মাটির, যেকোনো মুহূর্তে ধসে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। নরম বিছানা নেই, নেই ওষুধ, চিকিৎসার খরচ জোগানোর উপায়ও নেই। এমনকি চলাফেরার ন্যূনতম সহায়ক একটি হুইলচেয়ারও নেই তার ভাগ্যে।
দুখুনি মাহাতোর নাতি নিবাস মাহাতো জানান, “আমাদের নিজেদের সংসারই চলে খুব কষ্টে। দাদির চিকিৎসা করানো বা তার জন্য হুইলচেয়ার কেনা আমাদের সাধ্যের বাইরে। যদি কোনোভাবে একটা হুইলচেয়ার জোগাড় হতো, তাহলে অন্তত তাঁকে বিছানা থেকে উঠিয়ে বাইরে একটু আলো-বাতাসের মুখ দেখানো যেত। কিন্তু সেটুকুও সম্ভব হচ্ছে না।”
স্থানীয়রাও বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই দুখুনি মাহাতো বিছানায় পড়ে আছেন। প্রতিবেশীরা মাঝেমধ্যে সাহায্যের হাত বাড়ালেও তা খুবই সামান্য। তাঁর এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন একটি হুইলচেয়ার এবং কিছু চিকিৎসা সহায়তা।
এলাকার সচেতন নাগরিক, সমাজসেবী, প্রবাসী ও বিত্তবানদের প্রতি বিনীত অনুরোধ—এই অসহায় নারীর জন্য একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। একটি হুইলচেয়ার কিংবা সামান্য আর্থিক সহায়তাই তার জীবনে এনে দিতে পারে কিছুটা স্বস্তি, নতুন করে বাঁচার আশা।
মানবতার এই সহযোগিতায় এগিয়ে আসুন। তাঁর পাশে দাঁড়ানো মানেই এক উজ্জ্বল মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন।
যোগাযোগের ঠিকানা: নিবাস মাহাতো (নাতি)
গ্রাম: ক্ষিরতলা, ধামাইনগর ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ।
মোবাইল ,নগদ/বিকাশ:০১৮২৩৩২৮৩১৮।