1. thedailydrishyapat@gmail.com : TheDaily Drishyapat : TheDaily Drishyapat
  2. info@pratidinerdrishyapat.com : Pratidiner Drishyapat : Pratidiner Drishyapat
  3. admin@thedailydrishyapat.com : admin :
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০৫:১৩ অপরাহ্ন

দুপুরের মধ্যেই স্কুল ছুটি, আগে যায় শিক্ষার্থী পরে যায় শিক্ষকগণ

সংবাদ প্রকাশক:
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫
  • ৫২ Time View

আমিরুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি:
দুপুর হওয়ার আগেই শ্রেণিকক্ষ খালি করে চলে যায় ছাত্রছাত্রীরা আর যোহরের আজান পড়লেই চলে যান প্রধান শিক্ষক সহ সকল শিক্ষকগণ । প্রধান শিক্ষকের নির্দেশনায় অফিস সহায়ক বিদ্যালয়ের সকল শ্রেণিকক্ষ , অফিসকক্ষ এবং প্রধান শিক্ষকের কক্ষ বন্ধ করে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত পতাকা উত্তোলন করে বসে থাকেন বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। এভাবেই গত রমজান মাসের পর থেকে বিদ্যালয়টি চলে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।

সোমবার (২৬ মে) সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে কাজিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের চিত্র এটি। অথচ বিদ্যালয় ছুটি হওয়ার কথা বিকেল ৪টায়। নিয়মের তোয়াক্কা না করে দিনের পর দিন এভাবেই চালিয়ে আসছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক।

সরেজমিনে দুপুর আড়াইটায় গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন রয়েছে কিন্তু অফিসকক্ষ, শ্রেণীকক্ষ এমনকি প্রধান শিক্ষকের কক্ষেও তালা ঝুলছে । ছাত্র-ছাত্রী নেই। সুনসান নীরবতা । বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে কৃষাণ কৃষাণি ধান-খড় শুকাতে ব্যস্ত রয়েছেন।

বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক ইসমাইল হোসেন বলেন, বারোটা একটার দিকে ছাত্র-ছাত্রী তাদের বাড়িতে চলে যায়। এর পাশাপাশি যোহরের আযানের পরপরই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে চলে গেছেন। আমাকে প্রধান শিক্ষক বলেছেন নির্ধারিত সময় পর্যন্ত পতাকা উত্তোলন রাখতে। বিদ্যালয়ে প্রায় ৩০০ জনের মতো শিক্ষার্থী রয়েছে। ছুটির বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।

এলাকাবাসী, অভিভাবক বলেন, অন্যান্য বিদ্যালয় প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। আর আমাদের এই বিদ্যালয়ের চিত্র ভিন্ন। বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস হয় না। শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে এসে ক্লাসে না গিয়ে কার্যালয়ে বসে থাকেন। দুপুর ১টা বাজলেই ছুটি দিয়ে চলে যান। এটি এ বিদ্যালয়ের নিত্যদিনের চিত্র। এভাবে চলতে থাকলে অত্র অঞ্চলের ছাত্রছাত্রীরা তাদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবেন।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক অভিভাবক সদস্য আব্দুল মমিন বলেন, আমরা নিয়মিত এই অবস্থা দেখছি কখনোই দেখি নাই চারটা পর্যন্ত বিদ্যালয় চলে। এই বিদ্যালয়ের অবস্থা অনেক খারাপ। নিয়মিত ক্লাস না হওয়ায় । এতে করে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীরা প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পাশাপাশি স্কুলের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।

স্থানীয় অভিভাবক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ যেমন সঠিক সময় মতো বিদ্যালয় আসেনা তেমনি আবার দুপুরের পরে ছাত্রছাত্রী অথবা শিক্ষকগণ কাউকে পাওয়া যায় না । এভাবে একটা প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে । আমরা এই অবস্থার পরিত্রাণ চাই । আমরা চাই বিদ্যালয়টি নিয়মিত চলুক। এলাকার শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষা পাক।

এভাবে নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রতিদিন বিদ্যালয় ছুটি দেওয়ার কথা স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক মোঃ মামুনুর রশিদ বলেন, আমরা দুইটা তিনটা পর্যন্ত থাকি । দেখা যায় বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা চলে যায় এজন্য অনেক শিক্ষকও চলে যান। একটু এলোমেলো হয়েছে। আপনার সাথে আমি সামনাসামনি কথা বলবো আগামীকাল।

উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আনন্দ কুমার মন্ডল বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠান যদি বিকেল ৪টার আগে বিদ্যালয় ছুটি চলে যায় তাহলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। ওনারা এভাবে ছুটি দিয়ে চলে যেতে পারেন না। যেহেতু আমরা বিষয়টা আপনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি স্যার কে বলে আমরা এর ব্যবস্থা অবশ্যই নিবো।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনামিকা নজরুল বলেন, বিষয়টি যদি এরকম হয়ে থাকে তাহলে প্রধান শিক্ষককে আগামীকাল ডাকা হবে কি জন্য এভাবে বিদ্যালয় চলছে ।কোনো সমস্যা আছে কি না তার কাছে জানতে চাওয়া হবে। প্রধান শিক্ষক এটা যদি করে থাকে তাহলে ওনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
প্রতিদিনের দৃশ্যপট ২০২৪
Theme Customized BY Kh Raad (FriliX Group)
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com