সাব্বির মির্জা (তাড়াশ) প্রতিনিধিঃ
ভবনের ছাদে ফাটল। খসে পড়ছে পলেস্তারা। বেরিয়ে পড়েছে ভেতরের রড ও ইট। পিলারেও ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। জরাজীর্ণ এ অবস্থা সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার কুন্দাশন গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা আতঙ্কে থাকেন।
১৯১৫ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৩ সালে প্রথম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে নিবন্ধিত হয়। এখানে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১৪৩ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। জরাজীর্ণ ভবনে কোনো রকমে জোড়াতালি দিয়ে চলছে পাঠদান। যে কোনো মুহূর্তে ভবন ধসে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
একাধিক শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়ে কক্ষ দরকার আর ভবনের অবস্থাও ভয়াবহ। অন্য কোনো উপায় না থাকায় বাধ্য হয়ে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন। ভয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে চায় না।
কয়েকজন শিক্ষার্থী বলে, মাঝেমধ্যেই ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ভয়ে ভয়ে ক্লাস করতে হয়। আতঙ্কে শিক্ষকরা যখন পড়ান তখন তারা পাঠে মনোযোগ দিতে পারে না।
কুন্দাশন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো সামিউল ইসলাম জানান, নতুন ভবনের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও স্থানীয় এলজিডি অফিসের দরখাস্ত দেয়া হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি।
তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে দক্ষ শিক্ষক আছে। অথচ অবকাঠামোর অবস্থা করুণ। কোনো রকম জোড়া তালি দিয়ে পাঠদানের কাজ চলছে। কখন ভেঙে পড়ে সেই ভয়ে এবং আতঙ্কে থাকতে হয়।
তাড়াশ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার মো আশরাফুল ইসলাম জানান,কুন্দাশন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ঝুঁকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ভবনগুলো নতুনভাবে নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।