নিজস্ব প্রতিনিধি:
বাংলার গ্রামগঞ্জে শরতের হাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চারদিকে বইছে উৎসবের আমেজ। শিউলি ফুলের সুবাসে ভরে উঠছে আঙিনা। মহালয়ার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গাপূজা। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে আহ্বানের মধ্য দিয়ে সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসবের সূচনা হয়।
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় এ বছর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এযাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বড় দুর্গাপূজা। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মোট ৮৪টি মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে, যা স্থানীয় ভাবে সর্বাধিক।
প্রতিমা গড়া ও মণ্ডপ সাজানোর কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পী ও কারিগররা। রং-তুলির ছোঁয়ায় জীবন্ত হয়ে উঠছে দেবী দুর্গা ও তাঁর সঙ্গীরা। চান্দাইকোনা ইউনিয়নে ২২টি, ঘুড়কা ১৪টি, সোনাখাড়া ১৪টি, ধানগড়া ৮টি, পাঙ্গাসি ৭টি, ধামাইনগর ৯টি, নলকা ৪টি, ধুবিল ৩টি এবং বম্ব্রগাছা ইউনিয়নে ৩টি মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
রায়গঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডা. চন্দন কুমার বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে, সবার সহযোগিতায় এবারের দুর্গাপূজা সফলভাবে সম্পন্ন হবে।
রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি )কে এম মাসুদ রানা বলেন, পূজা কমিটির সঙ্গে একাধিক বৈঠক করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে, প্রতিটি মণ্ডপেই থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা বলয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন কবির জানিয়েছেন, পূজা উপলক্ষে প্রতিটি মণ্ডপে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উপজেলা আইন শৃঙ্খলা মিটিংয়ে আলোচোনা হয়েছে।পুলিশ, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকরা সার্বক্ষণিক দায়িত্বে থাকবেন।
পূজাকে ঘিরে পুরো উপজেলায় বিরাজ করছে উৎসবের আনন্দ-উচ্ছ্বাস। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এ উৎসবকে গ্রহণ করেছেন সামাজিক সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে।
আগামী ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে এবারের শারদীয় দুর্গোৎসবের।