রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধুবিল ইউনিয়নের শ্যামেরঘন গ্রামে হিন্দু প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন ৩২ বছর বয়সী এক মুসলিম নারী। প্রেমিকের প্রতারণা ও বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগে তিনি এ অবস্থান নিয়েছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার (১৪ জুন) সকাল থেকে প্রেমিক উজ্জ্বল চন্দ্র মাহাতোর বাড়িতে অবস্থান নেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার বাসিন্দা তানজিলা আক্তার। ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে উজ্জ্বলের সাথে তার পরিচয় হয়।
তানজিলা জানান, ২০১৮ সাল থেকে তাদের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। দুই পরিবার বিষয়টি জানলেও পরবর্তীতে তার পরিবার আপত্তি জানায়। তবে সম্পর্কের মধ্যে থাকাকালীন উজ্জ্বলের গ্রামের এক মেয়ের সাথে ছয় বছরের সম্পর্ক এবং আরেক মেয়ের সাথে সম্পৃক্ততার বিষয়ও তিনি জানতে পারেন। এমনকি উজ্জ্বল তাদের কাছ থেকেও টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। তানজিলার দাবি, উজ্জ্বল মুসলমান হয়ে তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন এবং সম্পর্কের সুবাদে দু’জনের শারীরিক সম্পর্কও হয়। এছাড়া মোটরসাইকেল কেনা ও বিভিন্ন কাজে প্রায় আট-দশ লাখ টাকা নিয়েছেন উজ্জ্বল। এখন তিনি বিয়ে করতে অস্বীকার করছেন।
তানজিলা বলেন, “আমি চাই না তাকে বিয়ে করতে, কিন্তু সে যেন আমার সমস্ত টাকা ফেরত দেয়। টাকা ফেরত পেলে আর কোনো দাবি থাকবে না।”
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল করিম বলেন, “ঘটনাটি সত্য। মেয়েটির অভিভাবকরাও এসেছিল। ছেলেটো এখন অন্য মেয়েকে বিয়ে করেছে।”
আরেকজন স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীর হোসেন জানান, “মেয়েটি এখনো উজ্জ্বলের বাড়িতে অবস্থান করছে। ছেলের পরিবারের কেউ বাসায় নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারাও এসেছেন।”
ছেলের মা শান্তি রানী ও বড় ভাই জানান, বাবার অনুপস্থিতিতে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না।
এদিকে অভিযুক্ত উজ্জ্বল চন্দ্রের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, এ বিষয়ে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।