রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামী’র উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ( ১০ জুন)বিকেলে উপজেলার ধানগড়া পৌর বাসস্ট্যান্ড চত্বরে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. আলী মর্তুজা এবং সঞ্চালনা করেন উপজেলা সেক্রেটারি ডা. এস. এম. মুনছুর আলী। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী প্রফেসর ড. মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুস সামাদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আব্দুস সামাদ বলেন,
“জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় বিশ্বাসী নয়; বরং জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে চায়। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, লুটপাট— এসবের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করতে হবে। ইসলাম ছাড়া পৃথিবীতে প্রকৃত ইনসাফ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের মানুষ প্রকৃত সুখ-শান্তি পায়নি। অনেক মানুষ এখনও রাস্তায় ঘুমায়, না খেয়ে দিন কাটায়। প্রকৃত স্বাধীনতার সুফল পেতে হলে সৎ ও আল্লাহভীরু নেতৃত্ব প্রয়োজন।”

তিনি আরও বলেন,
“যারা ফ্যাসিবাদী শক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে, তারা কেবল নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটায়; জনগণের জন্য কিছুই করে না। যারা বিদেশি শক্তির ইশারায় ক্ষমতায় যেতে চায়, তাদেরকেও জনগণ প্রতিহত করবে। দেশে জামায়াতের নেতাকর্মীরাই সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে। কঠিন পরিস্থিতিতেও জামায়াতের কোনো বৈঠক-পাঠচক্র থামানো যায়নি। জামায়াতের নেতাকর্মীরা আল্লাহর কাছে জবাবদিহির জন্য কাজ করে বলেই তারা আপসহীন।”

তিনি আরও উপস্থিত জনতার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন,
“ভোটের সময় যারা টাকা দিয়ে আপনাদের ভোট কিনতে চাইবে, তাদের ভোট দিয়ে কোনো লাভ হবে না। তারা দ্বিগুণ অর্থ আপনার কাছ থেকে আদায় করবে। তাই সৎ ও আল্লাহভীরু প্রার্থীকে ভোট দিয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখুন।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা নাসির উদ্দিন, রায়গঞ্জ উপজেলার নায়েবে আমীর মাওলানা আবুল কালাম বিশ্বাস, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান, সাবেক রায়গঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. মোশাররফ হোসেন আকন্দ, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ডা. কামরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সুমন আহমেদসহ জামায়াতের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় কর্মীরা।