ব্যুরো প্রদান নওগাঁ:
নওগাঁর রাণীনগরে সিরাজুল ইসলাম নামে এক ভ্যান চালকের বাড়ি থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির দেড় হাজার কেজি (৩০ কেজির ৫০ বস্তা) চাল জব্দ করা হয়েছে।
রোববার বিকেলে উপজেলার গোনা ইউনিয়নের ভবানীপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ ওই চালগুলো জব্দ করা হয়। পরে চালগুলো স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
তবে ওই চালগুলোর প্রকৃত মালিক কে তা সনাক্ত করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বলছেন, একটি চক্র খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ওই চালগুলো কিনে ভ্যানচালকের বাড়িতে মজুদ করে রেখেছিল। তবে তৎক্ষনিক ওই চাল ব্যবসায়ীদের নাম পাওয়া যায়নি। তারা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িতের বের করার দাবি জানিয়েছে।
বাড়ির মালিক ভ্যান চালক সিরাজুল ইসলাম জানান, আমি ভ্যান চালিয়ে জীবন-জীবিকা নিবাহ করি। বৃষ্টি হওয়ার কারণে দূর্গাপুর গ্রামের দুই-তিন জন এসে আমার বাড়িতে এই চালের বস্তাগুলো রেখে যায়।
উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক আনিছুর রহমান জানান, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজির চাল হতদরিদ্রদের মাঝে ডিলারদের মাধ্যমে বিতরণ চলছিল। এরই মধ্যে রোববার দুপুর ২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি- উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল মজুদ করা হয়েছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সিরাজুল ইসলামের বাড়ি থেকে দেড় হাজার কেজি (৩০ কেজির ৫০ বস্তা) চাল পাওয়া যায়। পরে চালগুলো জব্দ করে গোনা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) রবিউল ইসলামের জিম্মায় রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বাড়ির মালিক একজন ভ্যানচালক। কিন্তু ওই বাড়িতে কে চালগুলো রেখেছে তা এখনো সনাক্ত করা যায়নি। তবে চালের প্রকৃত মালিককে খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে।
রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল হাসান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের সিরাজুলের বাড়ি থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির দেড় হাজার কেজি চাল পাওয়া গেছে। চালগুলো জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।