1. thedailydrishyapat@gmail.com : TheDaily Drishyapat : TheDaily Drishyapat
  2. info@pratidinerdrishyapat.com : Pratidiner Drishyapat : Pratidiner Drishyapat
  3. admin@thedailydrishyapat.com : admin :
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০৬:২১ অপরাহ্ন

বেত্রাঘাত দিয়ে পিটিয়ে শিক্ষার্থীর হাত ভেঙে দিলেন শিক্ষক

সংবাদ প্রকাশক:
  • Update Time : বুধবার, ২৮ মে, ২০২৫
  • ৫২ Time View

সাব্বির মির্জা, (তাড়াশ) প্রতিনিধিঃ

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শিক্ষার্থীর করা অভিযোগে বেত্রাঘাত দিয়ে পিটিয়ে মারুফা খাতুন (৮)
নামে দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর হাত ভেঙে দিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো মাসুদ রানা।

গতকাল মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল ১০ দিকে উপজেলার দিঘড়য়া দিয়ার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস চলাকালীন সময়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর ক্লাসে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মারুফা খাতুন (৮) উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের দিঘড়িয়া দিয়ার পাড়া গ্রামের মোঃ মাজেদ হোসেনের মেয়ে এবং
দিঘড়য়া দিয়ার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। তার ক্লাস রোল ২০ এবং অভিযুক্ত শিক্ষক মো মাসুদ রানা
ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক দিঘড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, মাসুদ রানা ক্লাসে এসে স্যার আমাকে জিজ্ঞেস করেন তুমি তিন চার দিন স্কুলে কেনো আসনী তার পরে স্যার আমাকে বেত্রাঘাত দিয়ে পিটায়। এতে আমার হাত ভেঙে যায়। তারপরে বাড়িতে আসলে আমাকে নিয়ে হাসপাতালে গেলে ডাক্তার ব্যান্ডেস করে দেয়। এসময় অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান এর আগে বহুবার মাসুদ রানা ছাত্রছাত্রীদের এরকম বেধম পিটান পিটিয়েছে। এর কোন বিচার হয় নাই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মো মাসুদ রানা জানান, আমি মারুফা খাতুনকে বেত দিয়ে মারিনি তাকে আমি বলেছি তুমি কেনো স্কুলে আসোনা এটাই জিজ্ঞেস করেছিলাম। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এবং আমি যাতে ওই স্কুলে চাকরি করতে না পারি এইজন্য কিছু লোকজন আমার পিছনে লেগেছে।

দিঘড়িয়া দিয়ার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো হুমায়ূন কবির
জানান, আজ সকালে মাসুদ রানা বিরুদ্ধে আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি। ওই শিক্ষক মাসুদ রানা বিষয় আমি আমাদের (এটিও) স্যারকে অবগত করেছি । আর শিক্ষক মাসুদ রানা ছুটি ছিলেন পরে ফোন মাধ্যমে ঘটনাটি জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, তিনি কাল সকালে এসে কথা বলবে ফোন রেখে দেয়।

তাড়াশ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আপেল মাহমুদ জানান, আমি ঘটনাটি শুনার সাথে সাথে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো রেজাউল করিমকে ওই বিদ্যালয়ে পাঠিয়েছি, সে এসে আমাকে প্রতিবেদন দিলে আমি ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ নূরুল ইসলাম জানান, আপনার মাধ্যমে বিষয়টি শুনলাম। ঘটনার বিষয়ে আমি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে জেনে আইনি ব্যবস্থা নেব।

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো হারুনুর রশিদ জানান, ওই বিদ্যালয়ে আমার শিক্ষা অফিসার (এ টি ও) সাহেব গিয়েছিল। উনি রিপোর্ট দিলে আমি দু- একদিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিব।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
প্রতিদিনের দৃশ্যপট ২০২৪
Theme Customized BY Kh Raad (FriliX Group)
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com