রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
লিবিয়ায় কর্মরত অবস্থায় আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর দুই মাস ২৫ দিন পর স্বজনদের কাছে ফিরলো প্রবাসী যুবক নাজমুল ইসলামের (৩০) লাশ। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে একটি লাশবাহী গাড়ি তার মরদেহ পৌঁছে দেয় সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের বেতুয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামে। স্থানীয় ব্যবসায়ী লোকমান হোসেনের ছেলে নাজমুলকে জানাজা শেষে সকাল ১১টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে চার লাখ টাকা খরচ করে জীবিকার সন্ধানে লিবিয়া পাড়ি দিয়েছিলেন নাজমুল। গত ২০ জুন ঘরের ভেতর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনি মারা যান। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় দীর্ঘ সময় মরদেহ দেশে আনতে বিলম্ব হয়। পরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে তার মরদেহ দেশে আসে।
নিহতের পরিবারে স্ত্রী, আড়াই বছরের এক পুত্র সন্তান, বৃদ্ধ বাবা-মা রয়েছেন। ছোট্ট সন্তানটি বাবার স্নেহ ও মুখে ডাক শোনার আগেই হারালো প্রিয় অভিভাবককে। অন্যদিকে, নাজমুল যেই বিদেশি কোম্পানিতে কাজ করতেন তাদের পক্ষ থেকে পরিবারকে জানানো হয়েছে, কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না।
বোন মোছা. সুমা খাতুন বলেন,ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই পরিবারে শোকের মাতম চলছে। লাশ দেশে ফিরবে কিনা তা নিয়েও অনিশ্চয়তা ছিল। শত বাধা-বিপত্তি আর অক্লান্ত পরিশ্রমের পর অবশেষে ভাইকে দেশে এনে দাফন করতে পেরেছি।
রায়গঞ্জ থানার ওসি কেএম মাসুদ রানা বলেন, বিদেশে কেউ মারা গেলে লাশ দেশে আনতে অনেক সময় লাগে। রায়গঞ্জের ওই যুবকের লাশ দেশে এসেছে কি না তা আমাদের জানা নেই।