দৃশ্যপট ডেস্ক:

শ্লোগানে শ্লোগানে বিএনপি নেতা ড. এম.এ মুহিতের পদ স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহার দাবী করেছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের কয়েক হাজার নেতাকর্মী।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিরাজগঞ্জ শহরের ইসলামিয়া কলেজ মাঠে বিএনপির সমাবেশে ড. এম.এ মুহিতের ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেঁয়ে ফলে তার কর্মী- সমর্থকরা।

জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। প্রধান বক্তা ছিলেন, রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম।

শাহজাদপুর থেকে আসা নেতাকর্মীদের কাছে ড. মুহিতের ব্যানার-ফেস্টুনে সমাবেশস্থল ছেয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, শাহজাদপুরের ত্যাগী নেতাকর্মীদের ভরসাস্থল ড. এম. এ মুহিত। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার পদ স্থগিত করে সাধারণ নেতাকর্মীরা আশাহত হয়েছে। তাদের দাবী দেশনায়ক তারেক রহমান বিষয়টি পূর্নবিবেচনা করে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করবেন।

কথা হয়, শাহজাদপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আল মামুন জুয়েলের সাথে। তিনি বলেন, ড. মুহিত ১৭ বছর ধরে নেতাকর্মীদের সন্তানের মতো আগলে রেখেছেন। যারা জেল খেটেছেন তাদের পরিবারের সকল খরচ বহন করতেন তিনি। অথচ শাহজাদপুরের নেতাকর্মীর সাথে যার কোন যোগাযোগ নেই তার কারণেই ড. মুহিতের পদ স্থগিত করা হয়েছে।

উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, যুগ্ন্ আহবায়ক জাহিদুল ইসলাম জাহিদও একই দাবী জানিয়ে বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের যখন নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল, তখন আমরা ঢাকায় মুহিত সাহেবের বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলাম। তিনি শুধু আমাদের কর্মীদের নয়, তাদের পরিবারের খরচও বহন করেছেন। বিপদ-আপদে পাশে থেকেছেন।

কথা হয়, গাড়াদহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী, স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য আব্দুল মজিদের সাথে। তারা বলেন ড. মুহিতের পদ স্থগিতাদেশের নির্দেশ শাহজাদপুরের বিএনপি নেতাকর্মী এতোটা আঘাত পেয়েছে, যা মুখে বলে প্রকাশ করা যাবে না।

শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপি সদস্য সচিব আরিফুল ইসলামের বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ড. এম. এ মুহিত উপজেলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে পরিবারের মতো মিশে থেকেছেন। তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার সকল দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে। এতে তৃনমুল নেতাকর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমাদের প্রাণের দাবী বিএনপির চেয়ারপার্সন তারেক রহমান তাঁর সকল পদ ফিরিয়ে দেবেন।

জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, ড. এম. এ মুহিত পরাজয় জেনেও নেতাকর্মীদের সক্রিয় রাখতে ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। আজকে তাঁর বিপুল সংখ্যক সমর্থক নেতাকর্মী সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন। তারা মুহিতের দলীয় পদ পূর্নবহালের দাবী নিয়ে আমাদের সাথে কথা বলেছে এবং বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অবগত করার দাবী করেছেন। আমিও তাদের আশ্বস্ত করেছি।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশের সময় জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ারকে বাধা দেওয়া হয় এবং দুইপক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। ওই সময় জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ড. এম.এ মুহিত ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তারপরও এ ঘটনার জন্য কেন্দ্রীয় বিএনপি ড. এম. এ মুহিত ও গোলাম সরোয়ারের সকল দলীয় পদ স্থগিত করেন।