মীর্জা অপু, পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনার সাথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুরে মারপিট করে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর)সন্ধ্যায় কাশিনাথপুর জাপান টাওয়ার সংলগ্ন ভবনের ৩য় তলায় এ হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত হাফসার পরিবারের দাবি প্রতিনিয়ত আমার মেয়েকে মারধর করতো তার স্বামী জয়।
নিহত গৃহিনী হাফসা সাঁথিয়া উপজেলার পাইকরহাটি এলাকার মোঃ নজরুলের মেয়ে।২০০৯ সালে হাফসার সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় আমিনপুর থানা এলাকার টাংবাড়ি গ্রামের ডা:জাহিদ হোসেন খাঁনের ছেলে মেহেদী হাসান জয়ের সাথে।
৪ বছরের মেয়ে যতি তার সরল ভাষায় জানান আমি বাবাকে নিষেধ করেছিলাম যেনো না মারে কিন্ত্তু আমার কথা বাবা শুনলো না তারপরও মারলো।
নিহত হাফসার মা নাসিমা আক্তার জানান,বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন দাবি দাওয়া করতো আমার মেয়ের কাছে।যখন যা দাবি করেছে আমি পূরণ করেছি।যদি কোন সময় চাহিদা মতো দাবি না মানা হলেই অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে দিতো জয়।এর আগেও জয় আমার মেয়েকে ব্যাপক প্রহার করে যার ফলে মাথায় আঘাত পেয়ে ব্রেনের সেল গুলো ছিঁড়ে যায়।আমার নিজ খরচে ৩বার ভারতে নিয়ে যেয়ে চিকিৎসা করিয়েছি।
নিহত হাফসার বাবা মোঃ নজরুল জানান,এটা কোন ভাবেই আত্মহত্যা নয় এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।আমার মেয়ের জামাই জয় হাফসাকে হত্যা করে টয়লেটে কাপড় রাখার হ্যানগারে ঝুলিয়ে রেখেছে।আমার মেয়ের উচ্চতা এবং হ্যানগারে উচ্চতায় স্পষ্ট এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড আমি জয়ের ফাঁসি চাই।
এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান কাশিনাথপুর একটি আবাসিক ভবনে একজন গৃহিণী গলায় ফাঁস নিয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে যেয়ে মরদেহ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
হত্যার অভিযোগের বিষয়ে ওসি জানান আমরা প্রাথমিক ভাবে নিহতের সন্তান,পরিবারের সদস্যদের জবানবন্দি নিয়েছি ।এটা হত্যাকাণ্ড না কি আত্মহত্যা এ বিষয়ে তদন্ত চলছে তদন্ত শেষে রহস্য উদঘাটন হলে জানা যাবে আসল ঘটনা।