নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁয় র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে একটি গোডাউন হতে প্রায় ১৪ মন (৫৫৩.৭ কেজি) অবৈধ বিস্ফারক দ্রব্য উদ্ধার করেছে। সেই সাথে শ্রী রুপম কুমার (৩৫) নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন বিহারী (৪৫) নামের অন্য এক যুবক পালিয়ে যায়। রবিবার দিবাগত রাত ১০ টার দিকে শহরের পুরাতন মাছ বাজার (মসলাপট্টি) এলাকায় কাজী মার্কেটের তৃতীয় তলায় ভাড়াকৃত ওই গোডাউন থেকে বিস্ফারক দ্রব্যসহ তাকে আটক করা হয়। আটককৃত রুপম জেলার মহাদেবপুর থানার জোতহরি গ্রামের নিবারণ চন্দ্র বর্মণের ছেলে ও পলাতক সালাউদ্দিন বিহারী সদর থানার খাস নওগাঁ (মরাকাঠি) এলাকার মৃত শামছুল হকের ছেলে। সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেল তিনটার দিকে র্যাব-৫ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আটককৃত রুপম একজন চিহ্নিত অবৈধ বিস্ফোরক ব্যবসায়ী। সে সিলেট ও শায়েস্তাগঞ্জ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে চা পাতার নাম করে বিস্ফোরক দ্রব্য সংগ্রহ করতো। পাশাপাশি নওগাঁ ও পার্শ্ববর্তী জেলার সীমান্ত এলাকা হতে কৌশলে অবৈধ বিস্ফোরক দ্রব্য সংগ্রহ করতো। এরপর তার সহযোগী সালাউদ্দিনের যোগসাজসে নওগাঁসহ পার্শ্ববর্তী জেলাসমুহে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করতো। এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত কয়েকদিন ধরে র্যাব এর একটি গোয়েন্দা দল রুপম ও সালাউদ্দিন এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ শুরু করে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাতে র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর একটি আভিযানিক দল নওগাঁ পৌরসভার পুরতান মাছ বাজার (মসলা পট্টি) এলাকায় কাজী মার্কেটের তৃতীয় তলায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে রুপমকে তার ভাড়াকৃত গোডাউনে অবৈধ বিস্ফোরক দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের সময় আটক করা হয়। সেই সাথে উক্ত পরিমান বিস্ফোরক দ্রব উদ্ধার করা হয়। এসময় তার সহযোগী সালাউদ্দিন কৌশলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে রুপম অকপটে প্রকাশ্যে স্বীকার করে সে এবং পলাতক সালাউদ্দিন দীর্ঘদিন যাবত নাশকতা ও ভয়ভীতি প্রদর্শণের কাজে ব্যবহৃত করার উদ্দেশ্যে বিস্ফোরক দ্রব্যাদি অবৈধভাবে সংগ্রহ করে ভাড়াকৃত নিজ নিজ গোডাউনে রেখে বিক্রয় করে আসছিল। পরবর্তীতে আটককৃতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইন-১৯০৮ অনুযায়ী নওগাঁ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানতে চাইলে র্যাব-৫, সিপিসি-৩ জয়পুরহাট ক্যাম্পের মেজর আসিফ আল-রাজেক বলেন, অবৈধ বিস্ফোরক দ্রব্য সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরনের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে র্যাব অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। মাদক, অস্ত্রসহ উদ্ধারসহ সকল অপরাধের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান উর্দ্ধতন এই কর্মকর্তা।