নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁয় অভিনব পন্থায় গাঁজা বহনের সময় তিন মাদক ব্যবসায়িকে আটক করেছে র্যাব-৫ এর সদস্যরা। এসময় ৬৪ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ গাঁজা বহনকৃত একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে। শুক্রবার ২১ জুন সকালে শহরের বাইপাস এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এদিন বিকেল ৫টায় র্যাব-৫ জয়পুরহাট থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
আটককৃতরা হলেন- কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানার বসন্তপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৮), কুটিশহর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৮) এবং বড় জ্বলা গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে
শাওন (২১)। এছাড়া একই উপজেলার মতিনগর গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে চালক শহিদুল (২৫) কৌশলে পালিয়ে যায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- আটককৃতরা শুক্রবার একটি মাইক্রোতে গাঁজা নিয়ে নওগাঁর ওপর দিয়ে যাবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের একটি দল নওগাঁ শহরের বাইপাস ঠ্যাংভাঙ্গা মোড়ে অবস্থান নেয়। এসময় সকাল ৬টার দিকে উপরের অংশ কাটা একটি মাইক্রোবাস নওগাঁ থেকে বদলগাছীগামী
যাওয়ার সময় সন্দেহ হলে সেটি থামিয়ে তল্লাসি চালানো হয়। তল্লাশিকালে মাইক্রোর শীটের নীচে পাটাতনের প্লেন শীটের নীচে অভিনব পদ্ধতিতে তৈরি করা বাক্সে কাগজ ও স্কচটেপ মোড়ানো অবস্থায় ১৪টি প্যাকেটে ৬৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। সেই সাথে সাদ্দাম হোসেন, আলমগীর হোসেন এবং শাওন কে আটক করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়- আটক আসামী সাদ্দাম ও পলাতক শহিদুল (চালক) চিহ্নিত পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী।
তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লার সীমান্তবর্তী অঞ্চল হতে গাঁজার চালান সংগ্রহ করে আইন-শৃংখলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন পদ্ধতিতে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে করে মাদক সরবরাহ করে আসছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। আটককৃত আসামীদের যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নওগাঁ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।