আমিরুল ইসলাম:
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের এসির বিদ্যুৎ বিল বেশি আসায় সবগুলো এসি বন্ধ করে দিলেন অত্র মসজিদ কমিটির সভাপতি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনামিকা নজরুল । বিষয়টি ঘিরে স্থানীয় মুসল্লিদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ মে ) বিকেলে আছরের নামাজের পর মুসল্লিরা মসজিদ চত্বরে কয়েক মিনিট শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেন। তারা জানান, ইউএনওর নির্দেশেই মসজিদের এসিগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় মুসুল্লি সোহেল মাহমুদ খাঁন বলেন, “ইউএনও বলেছেন, মসজিদে এতগুলো এসি লাগানো প্রয়োজন নেই। এমনকি, এগুলো কে লাগাতে বলেছে তাও জানতে চেয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ভারতে যেমন মুসল্লীদের নামাজ পড়তে দেয় না। আমাদের এখানে এখন এসি বন্ধ করেছে আবার কবে মনে হয় মসজিদের তালা ঝুলিয়ে দেয়। আমরা আগামীকালের জোহরের নামাজের আগেই এসি চালু চাই। এতো গরমে মুসুল্লিরা এসি ছাড়া নামাজ আদায় করা কঠিন।
মুসল্লিরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আরো বলেন, বুধবার জোহরের নামাজের সময় এসি চালু না হলে তারা আরও বড় আকারে বিক্ষোভ করবেন।
বিষয়টি নিয়ে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর সিদ্দিকী জানান, মসজিদের প্রায় ৬৯ হাজার বকেয়া রয়েছে। আমাদের মসজিদ ফান্ডেও এখন টাকা নেই। যার কারণে মসজিদ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা কর্মকর্তা অনামিকা নজরুলের নির্দেশে এসি বন্ধ করা হয়েছে। এখানে আমার কিছু করার নেই। আর এসি কবে চালু হবে সেটাও জানি না।
মসজিদ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনামিকা নজরুল, মসজিদের একাউন্টে এসির বিল দেওয়ার টাকা নেই। মুসুল্লিরা যে টাকা দেয় সে টাকার হিসাব প্রতি মাসেই দেওয়া হয় । কয় টাকা দেয় মুসল্লিরা। এসির বিল দেওয়ার মত টাকা আমার কাছে নেই তাহলে আমি কোথা থেকে বিল দেব। ৫০ হাজার টাকা বিল বকেয়া রয়েছে। ওই টাকা না শোধ করা পর্যন্ত কিভাবে এসি চালাই। এখন পর্যন্ত কোন মুসুল্লী আমার কাছে আসে নাই। যারা বিক্ষোভ করেছে তারা আগামীকাল দেখা করতে আসলে তাদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব এসি চালাতে দেবো কিনা।