1. thedailydrishyapat@gmail.com : TheDaily Drishyapat : TheDaily Drishyapat
  2. info@pratidinerdrishyapat.com : Pratidiner Drishyapat : Pratidiner Drishyapat
  3. admin@thedailydrishyapat.com : admin :
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলো হাদিকে রায়গঞ্জে যানজট নিরসনে পৌরসভার প্রশাসকের উদ্যোগ  সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ এক যাত্রীর মৃত্যু ফয়সালের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয়, আর্থিক সমস্যায় টাকা দেবে জানিয়েছিল : আদালতকে বান্ধবী  জামায়াত ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে: টুকু খেজুরের রস পান করে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধান উপদেষ্টা পাহাড় কেটে পানের বরজ, অনুমতিতে লাগছে ১০ হাজার টাকা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণসহ ছাত্র অধিকার পরিষদের ৫ দাবি বিরল প্রজাতির শকুন উদ্ধার: বন বিভাগে হস্তান্তর

বিজয়ের মাসে রংপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্র্রীকে হত্যা!

সংবাদ প্রকাশক:
  • Update Time : রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৩৯ Time View

রিয়াজুল হক সাগর, রংপুরঃ 

রংপুরের তারাগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের উত্তর রহিমাপুর গ্রামে এই নৃশংস জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় (৭৫) এবং তাঁর সহধর্মিণী সুবর্ণা রায় (৬০)।

রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টা বাজলেও যোগেশ চন্দ্র রায়ের বাড়িতে কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে সন্দেহ হয় দীর্ঘদিনের পারিবারিক কেয়ারটেকার দীপক চন্দ্র রায়ের। আশপাশের লোকজনকে ডেকেও কোনো সাড়া না মেলায় শেষমেশ মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন প্রতিবেশীরা।

ভেতরে ঢুকেই তাঁরা আঁতকে ওঠেন। বাড়ির ডাইনিং রুমে পড়ে ছিল বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায়ের নিথর দেহ, আর রান্নাঘরে পাওয়া যায় তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়ের রক্তাক্ত লাশ। পরে বাড়ির প্রধান ফটক খুলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী দীপক চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমি প্রায় ৪০-৫০ বছর ধরে দাদুর (যোগেশ চন্দ্র রায়) দেখাশোনা করছি। প্রতিদিন সকালেই আসি। আজ ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে মই দিয়ে ঢুকে দেখি এই ভয়াবহ দৃশ্য।

যোগেশ চন্দ্র রায় ২০১৭ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসরে যান। ব্যক্তিজীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক। তাঁর বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় জয়পুরহাটে এবং ছোট ছেলে রাজেশ খান্না চন্দ্র রায় ঢাকায় পুলিশ বিভাগে কর্মরত। সন্তানদের অনুপস্থিতিতে গ্রামের এই বাড়িতে বৃদ্ধ দম্পতি একাই বসবাস করতেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোনাব্বর হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী হোসেন এবং পুলিশ কর্মকর্তারা।

এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী হোসেন আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় আমরা কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।

তারাগঞ্জ থানার এসআই মো. আবু ছাইয়ুম জানান, প্রাথমিক সুরতহালে উভয় ভুক্তভোগীর মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভারি কোনো বস্তু দিয়ে আঘাত করে তাঁদের হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদ্‌ঘাটনে পুলিশ জোর তদন্ত শুরু করেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
প্রতিদিনের দৃশ্যপট ২০২৪
Theme Customized BY Kh Raad (FriliX Group)
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com