নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধি:
নাটোরের নলডাঙ্গায় কালবৈশাখী ঝড় বৃষ্টিতে বিশাল বটগাছ উপড়ে পড়ে।এতে সিংড়ার শেরকুল হতে নলডাঙ্গা সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।সড়কের পাশের তিনটি টিনসেটের বাড়িঘর সম্পন্ন বিধ্বস্ত হয়।
গত ১৬ মে শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।রোববার সকাল থেকে অপসারণের কাজ শুরু করছে নাটোর সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ)।তবে আগামী দুইদিনেও উপজেলার প্রধান সড়ক থেকে বটগাছ অপসারণ করে যানবহন চলাচল স্বাভাবিক হবে কিনা নিশ্চয়তা দিতে পারেনি।বাড়িঘরের উপরে পড়া বটগাছের ডালপালা সরানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সওজ বিভাগের কর্মকর্তারা।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়,নলডাঙ্গা উপজেলায় গত ১৬ মে শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে কালবৈশাখী ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়।এতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কাচাঁঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে।বৈদ্যতিক তার ছিড়ে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ হয়ে পড়ে।এসময় নলডাঙ্গা উপজেলার নাটোরের সিংড়ার শেরকুল হতে নলডাঙ্গা অভিমুখের অঞ্চলিক সড়কের আছঁড়াখালি এলাকায় একটি বিশাল বটগাছ উপড়ে পড়ে।এতে সড়কের দুই পারের সকল প্রকার যানবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।ফলে চরম দুর্ভোগে পড়ে যানবহনের চালক ও যাত্রী ও এলাকাবাসী।এই বটগাছ উপড়ে সড়কের পাশের আক্তার বানুর ২টি ঘর,আতাউর রহমানের ১টি ঘর ও রাশেদা বানুর বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়।অল্পের জন্য পরিবারের লোকজন প্রাণে রক্ষা পায়।এ ঘটনা স্থানীয়রা ৯৯৯ কল করে অভিযোগ করলে নলডাঙ্গা উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে দেখে গাছটি না সরিয়ে চলে যায়।ক্ষতিগ্রস্ত রাশেদা বলেন,শুক্রবার রাতে আমার টিনসেট বাড়িঘরের উপর বটগাছ উপড়ে পড়ে বাড়ির সব আসবারপত্র সম্পন্ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।দুইদিন ধরে আমাকে কেউ খাবার দেয়নি।গতকাল রাতে হোটেল খাবার কিনে খেয়েছি।কোন সরকারী লোক আমাদের পাশে দাড়াঁয়নি বলে অভিযোগ করেন।আমার মত আরো দুই বাড়ি একই পরিস্থিতি হয়েছে।আমাদের সামথ্য নাই ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর মেরামত করবো।আমরা বর্তমান সরকার ও প্রশাসনের কাছে দাবী করছি আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর মেরামত করে নতুন করে বাঁচার সুযোগ দিতে।জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে রোববার সকাল থেকে নাটোর সড়ক ও জনপদ বিভাগের লোকজন বটগাছ অপসারণের কাজ শুরু করেছে।তবে আগামী দুইদিনেও এ গাছ অপসারণের কাজ শেষ হবে কিনা তা নিশ্চয়তা দিতে পারেনি সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা।
নাটোর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম বলেন,সিংড়া শেরকুল হতে নলডাঙ্গা যাওয়ার প্রধান সড়কে বটবৃক্ষ উপড়ে পড়ে যানবহন চলাচলে ভোগান্তিতে পড়ে।জনভোগান্তির কথা চিন্তা করে আজ রোববার সকাল থেকে অপসারণের কাজ শুরু করা হয়েছে।আশা করছি দ্রুত এ সড়কে যানবহন চলাচলে স্বাভাবিক হবে।