সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় নাহিদ সুলতানা লাবনী (২৫) হত্যা মামলার চাঞ্চল্যকর রহস্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। প্রেমঘটিত বিরোধ থেকেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে জানিয়েছে সলঙ্গা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রেমিক মিলন হোসাইনকে আটক করা হয়েছে। নিহত লাবনী ধুবিল কাটার মহলের আব্দুল কাইয়ুম রিগানের স্ত্রী। এঘটনায় লাবনীর বাবা গোলাম মোস্তফা ৩০ নভেম্বর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সলঙ্গা থানার
জগজীবনপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে লাবনীর সঙ্গে ২০১৭ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় রিগানের। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। তবে বিয়ের আগে থেকেই লাবনীর সঙ্গে বড় গোজা গ্রামের মিলন হোসাইনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল, যা বিয়ের পরও গোপনে চলতে থাকে।
গত ২৯ নভেম্বর বিকেলে স্বামী বাড়িতে না থাকায় লাবনী মিলনকে ফোন করে বাসায় ডেকে নেন। সে সময় লাবনী তার ভাগ্নী ও মেয়ে কিছু খাবার কেনার জন্য বাজারে পাঠিয়ে দেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রথমবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। পরে মিলন বাড়ি থেতে ফোন আসায় বাড়ি ফিরে যেতে চাইলে লাবনী বাধা দেন। সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত তাদের মধ্যে ঝগড়া বাড়তে থাকে। দ্বিতীয়বার শারীরিক সম্পর্কে মিলন রাজি না হওয়ায় উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। হাতাহাতির এক পর্যায়ে মিলন লাবনীর গলা চেপে ধরলে শ্বাসরোধ হয়ে তার মৃত্যু হয়।
হত্যার পর মিলন লাবনীর ভাগ্নীকে ঘুম থেকে জাগিয়ে জানায়, লাবনী অজ্ঞান হয়ে গেছে। এরপর সে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সটকে পরে । রাত পৌনে ৪টার দিকে লাবনীর ভাগ্নী বিষয়টি লাবনীর বাবাকে জানালে লাবনীর বাবা থানা পুলিশকে জানায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করে। প্রযুক্তির সাহায্যে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ মিলনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে মিলন হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। আটককালে মিলনের কাছ থেকে লাবনীর ৪ ভরি স্বর্ণালংকারও উদ্ধার করা হয়।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির বলেন, প্রথমে আত্মহত্যা করেছে মর্মে ইউডি মামলা হলেও। ঘটনার পরপরই পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করে। অল্প সময়ের মধ্যেই ঘাতক প্রেমিক মিলনকে গ্রেপ্তার হয়েছে। আদালতে মিলন হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব নুরুল হক নয়ন
✆ ০৯৬৩৮-৯০৭৬৩৬। ই মেইল: thedailydrishyapat@gmail.com
।
Copyright 2025 Pratidinerdrishyapat