শরিফুল আলম ,ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
শ্মশানের পিলার পুনঃনির্মাণ ও উন্নয়ন নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায়, ভেঙে ফেলা পিলারগুলো(৩টি) পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরশাদুল আহমেদ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইকবাল হোসাইন, ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার-ইন-চার্জ ওবায়দুর রহমান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা অনুপ কুমার শেঠ, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. জাহিদ হাসান, উচাখিলা শ্মশান কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিমল সাহা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর ঈশ্বরগঞ্জ শাখার সভাপতি মুফতি হাবিবউল্লাহ। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ হলরুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।উল্লেখ্য, উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের শ্মশানটির ১৬ শতাংশ জমি রয়েছে।শ্মশানের পাশের কিছু স্থাপনা ও রাস্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল।২০২৪ সালে শ্মশানের জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে মর্মে বেশ কিছু দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনারকে(ভূমি) জায়গাটি পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিতে বলেন। প্রতিবেদন মোতাবেক শ্মশানকে জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ২৬/০৪/২০২৫(শনিবার) শ্মশানের পাশে থাকা গরুর হাটের জায়গায় কাজ করতে যায় বর্তমান উপজেলা প্রশাসন। তখন শ্মশানের তিনটি পিলার ভেঙে ফেলা হয়। এসময় পিলার ভাঙা নিয়ে হিন্দুদের মাঝে প্রবল ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এটি ভুলবশত হয়েছে বলে দাবি করা হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানেরও আশ্বাস দেয় প্রশাসন।তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উচাখিলা শ্মশান কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিমল সাহা বলেন, ‘পিলার ভাঙায় আমরা বিরক্ত হয়েছিলাম। কিন্তু আজ যে সমাধান দেওয়া হয়েছে তাতে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট ’।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরশাদুল আহমেদ বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের মৌখিক নির্দেশনা অনুযায়ী শশ্মানে পুনরায় পিলার পুনঃনির্মানের বিষয়টি আলোচনা করা হয়। স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ শশ্মান কমিটির সদস্যবৃন্দ তাদের নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন। আসলে ভুল বোঝাবুঝি থেকে উল্লিখিত সমস্যা সৃষ্টি হয় যা তাঁরা প্রথম দিকে বুঝতে পারেননি। দ্রুততম সময়ে পিলার নির্মাণ কাজ শুরু হবে এবং পরবর্তী ধাপে উন্নয়ন কার্যক্রম ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার থাকলে অতি অল্প সময়ের মধ্যে শশ্মান,মন্দির ও স্নানঘরসহ ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম করা যেত। বদলিজনিত কারণে তা করা সম্ভব না হলেও পরবর্তী ইউএনওকে প্রয়োজনীয় গাইডলাইন দিয়ে যাবো’।