মো. পারভেজ সরকার-
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে অবৈধ এক অটো রাইস মিলের বিরুদ্ধে একাধিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন।
ভুক্তভোগীর অভিযোগের পর পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সরেজমিনে ওই রাইস মিলের বিষাক্ত পানি, বর্জ্য, ছাই ও কালো ধোঁয়ায় ফসলের ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত হলেও পরবর্তীতে তা অদৃশ্য কারণে ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।
উপজেলার চান্দাইকোনা এলাকার মেসার্স রিয়া অটো রাইস মিলের বিরুদ্ধে লিখত অভিযোগ দায়ের কারেন ভুক্তভোগী একই এলাকার কৃষক এস এম সোহাগ সরকার।
বিভিন্ন দফতরে দেওয়া লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার চান্দাইকোনা এলাকায় তিন ফসলি জমিতে ঘনবসতি ও স্কুলের পাশেই অবৈধ ভাবে রিয়া অটো রাইস মিল স্থাপন করেছে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী মহলের নেতারা।
আর পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ম কানুন না মেনেই ফসলি জমির পাশে মিল কারখানা হওয়ায় জলবদ্ধতা সৃষ্টি, দুর্গন্ধযুক্ত পানি, মিলের নির্গত ধোঁয়া, বর্জ্য ও উড়ন্ত ছাইয়ে নিকটবর্তী গাছপালা, কৃষকের জমিতে পাকা ধান, ফসলের ক্ষতিসহ নষ্ট হচ্ছে ওই এলাকার পরিবেশ।
স্বাস্থ্য ঝুঁকির পাশাপাশি শিক্ষা ও এলাকার বসত বাড়ি গুলো বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি বলে জানান ভুক্তভোগী এস এম সোহাগ সরকার।
তিনি আরো জানান, লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পান৷ উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা গত বছরের ২৭ নভেম্বর অভিযোগের বিষয়ে শুনানী করেন। কিন্তু তদন্ত প্রতিদনের আলোকে কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করাও হয়েছিলো। অভিযুক্ত রিয়া অটো রাইস মিলের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ ক্রমে অনুরোধ করেন সিরাজগঞ্জ জেলার সহকারী কমিশনার মো.ফজলে রাব্বি। কিন্তু তার পরেও অদৃশ্য কারণে ব্যবস্থা নিচ্ছে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ন কবির।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, ফসলের জমিতে এই অটো রাইস মিলটি গড়ে উঠেছে। তারা যদি পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়মকানুন না মেনে চলেন তাহলে পরিবেশসহ ফসলের ক্ষতি হতে পারে। অভিযোগের পর আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে ওই মিলটি পরিদর্শন করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ন কবির বলেন, অভিযুক্ত রিয়া অটো রাইস মিলের বিষয়ে আগামী ২৮ তারিখ শুনানি আছে। শুনানি শেষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিরাজগঞ্জ জেলার সহকারী কমিশনার মোঃ ফজলে রাব্বি বলেন, এখন আমি এই দায়িত্বে নাই। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ শাখায় যোগাযোগ করতে পারেন। অভিযোগ শাখায় যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পরিবেশ অধিদপ্তর সিরাজগঞ্জের সহকারী পরিচালক তুহিন আলম জানান, অভিযোগের পর ঘটনাস্থল সরেজমিনে তদন্ত করা হয়েছে। সেই সাথে তদন্ত প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব নুরুল হক নয়ন
✆ ০৯৬৩৮-৯০৭৬৩৬। ই মেইল: thedailydrishyapat@gmail.com
।
Copyright 2025 Pratidinerdrishyapat