
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজিজনগর বনবিটের জাঙ্গালিয়া মাজারের পশ্চিমে, এলিফ্যান্ট আন্ডারপাসের দক্ষিণে খাদেম আহমদের খামারের উভয় পাশে কমপক্ষে ৮টি পানের বরজ গড়ে তোলা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি বরজ সম্প্রতি পাহাড় কেটে নির্মাণ করা হয়েছে। এদিকে উদ্বেগজনকভাবে চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কার্যালয় ও বনবিট অফিসের এক কিলোমিটারের মধ্যেই একাধিক পাহাড় কেটে বরজ নির্মাণ হলেও এ পর্যন্ত কোনো উচ্ছেদ অভিযান বা মামলা হয়নি। এতে বনবিভাগের তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পানের বরজ মালিক জানান, প্রতি বরজ বাবদ ১৫ হাজার টাকা এবং পাহাড় কাটার জন্য আরও ১০ হাজার টাকা করে তারা আজিজ নগর বনবিট কর্মকর্তা আসিফ মিয়াকে দিয়েছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বনবিট কর্মকর্তা আসিফ মিয়া জানান, তিনি কোনো অর্থ নেননি এবং অভিযোগগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এ সময় তিনি ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী বাহার উদ্দিন বলেন, অভিযোগগুলো গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। অনিয়ম প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিবেশবিদদের মতে, এলিফ্যান্ট আন্ডারপাস সংলগ্ন পাহাড় কাটা ও বরজ নির্মাণ হাতির চলাচলের করিডোর মারাত্মকভাবে সংকুচিত করছে, যা মানুষ ও হাতির সংঘর্ষের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত অবৈধ বরজ উচ্ছেদ, পাহাড় পুনরুদ্ধার এবং নিরপেক্ষ তদন্ত না হলে চুনতি অভয়ারণ্য স্থায়ী পরিবেশগত বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
সূত্রঃ কালবেলা।