
ঢাকা ক্যাপিটালসের প্রধান নির্বাহী আতিক ফাহাদ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দলটির ওপেনিং শক্তি নিশ্চিত করতেই গুরবাজকে নেওয়া হয়েছে। কারণ হেলস বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টিতে আবুধাবি নাইট রাইডার্সের হয়ে ব্যস্ত। লিগের ফাইনাল হবে ৪ জানুয়ারি; আবুধাবি ফাইনালে উঠলে বিপিএল শুরুর ম্যাচগুলোয় হেলসকে পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
গুরবাজ নিজেও একই লিগে গালফ জায়ান্টসের হয়ে খেলছেন। ফলে তাকেও পুরোপুরি শুরু থেকে পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। তবুও দুজনের মধ্যে অন্তত একজনকে প্রথম দিকের ম্যাচ থেকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ব্যবস্থাপনা।
আতিক ফাহাদ বলেন, “হেলস ও গুরবাজ—দুজনই আইএল টি-টোয়েন্টিতে ব্যস্ত। হেলস হয়তো কিছুটা দেরিতে আসতে পারে, তাই বিকল্প হিসেবে গুরবাজকে প্রস্তুত রেখেছি। আশা করছি দুজনের একজন অন্তত শুরুর দিকে পাওয়া যাবে।”
ঢাকার স্কোয়াডে ওপেনিংয়ে ভরসা থাকতে পারে দেশীয় দুই ব্যাটার সাইফ হাসান ও উসমান খান। বিশেষ করে উসমান পুরো আসর জুড়েই দলকে সেবা দেবেন। গ্রুপ পর্বের পর হেলস–গুরবাজের যেকোনো একজন যোগ হলে ব্যাটিং শক্তি আরও বাড়বে বলে মনে করছেন কর্তারা।
ঢাকা ক্যাপিটালস এবার বিদেশি কোটায় বেশ শক্তিশালী দল সাজিয়েছে। হেলস, গুরবাজ ও উসমান ছাড়াও দলে রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওডিন স্মিথ, পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিম, আফগান স্পিনার জুবাইদ আকবরী এবং শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক দাসুন শানাকা। দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সাইফ হাসান, তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মোহাম্মদ মিঠুন ও তাইজুল ইসলাম স্কোয়াডকে আরও ভারসাম্যপূর্ণ করেছে।
ঢাকা ক্যাপিটালসের এবারের লক্ষ্য স্পষ্ট—অভিজ্ঞতা ও শক্তির মিশেলে শিরোপা লড়াইয়ে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করা।