সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের সদরে মোছা. মরিয়ম বেগম নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের মাত্র ৮ ঘণ্টার মধ্যেই রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত মো. সোহেল রানা নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিরাজগঞ্জ সদর সার্কেল) নাজরান রউফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার সোহেল রানা (৩৫) সদর উপজেলার গুনেরগাঁতী গ্রামের মো. আসাদুল্লাহর ছেলে। নিহত মরিয়ম খোকসাবাড়ী হাসপাতাল এলাকার মৃত নুর ইসলামের স্ত্রী ও জাবেদ আলী সেখের মেয়ে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজরান রউফ বলেন, রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে নলিছাপাড়া এলাকায় কলা বাগানে কলাপাতায় মোড়ানো অবস্থায় মরিয়মের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় একটি টিম গঠন করা হয়। এ টিম তদন্ত করে তথ্যপ্রযুক্তি ও নিখুঁত গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে হত্যাকারী সোহেল রানাকে শনাক্ত করে রাতেই গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার সোহেল রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে বলেন, প্রায় ২-৩ বছর ধরে মরিয়মের সঙ্গে তার পরকীয়ার সম্পর্ক চলে আসছিল। প্রতি সপ্তাহে তারা ১/২ বার দেখা করতেন। এক পর্যায়ে সোহেল রানা মরিয়মকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। কিন্তু মরিয়ম বিয়ের জন্য সময়ক্ষেপণ করে এবং অন্য একজনের সঙ্গে একইভাবে পরকীয়ার সম্পর্ক শুরু করে।
নাজরান রউফ বলেন, গত ৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর মরিয়মের সঙ্গে কুশাহাটা গ্রামে দেখা করি। সোহেল রানা আবারও বিয়ের প্রস্তাব দিলে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে সোহেল রানা মরিয়মের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর মরদেহটি কলাগাছের নিচে ড্রেনের মধ্যে রেখে আসে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব নুরুল হক নয়ন
✆ ০৯৬৩৮-৯০৭৬৩৬। ই মেইল: thedailydrishyapat@gmail.com
।
Copyright 2025 Pratidinerdrishyapat