চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে একদিনে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪০ টাকা কমেছে। নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসা এবং ভারত থেকে আমদানির অনুমতি (আইপি) দেওয়ার ঘোষণার প্রভাব এর ফলে পড়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, বৃহস্পতিবার বা শনিবার ১৩০ টাকিতে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এখন ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নতুন মেহেরপুরি জাতের পেঁয়াজ কেজিতে ৭০-৮৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, চলতি মৌসুমে দেশীয় পেঁয়াজই চাহিদা পূরণ করেছে। সারাবছর সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় কৃষকরা লাভবান হয়েছেন এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হয়েছে। খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাই এলাকার আড়তে দেখা গেছে নতুন পেঁয়াজ এসেছে, যা পাবনা ও সিরাজগঞ্জের পেঁয়াজের চেয়ে বড়। সরকারি আইপি ঘোষণার খবরে রাতারাতি দাম কমেছে, কেজিতে ৩৫-৪০ টাকা হ্রাস পেয়েছে।
দেশি কৃষকদের লোভের কারণে মৌসুমের শেষ সময়ে দাম বেড়ে ১৩০-১৪০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। তবে নতুন পেঁয়াজ আসায় দাম দ্রুত কমেছে। বাজারে এখন প্রতিদিন ১৫-১৮ ট্রাক পেঁয়াজ আসে। এ বছরের পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য ‘এয়ার ফ্লো’ মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে, যার কারণে পচন মাত্র ৫ শতাংশের নিচে নেমেছে।
বাংলাদেশে প্রায় সব জেলায় পেঁয়াজ চাষ হয়, প্রধান উৎপাদন ক্ষেত্র হলো পাবনা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, ঝিনাইদহ, মাগুরা, মেহেরপুর, মাদারীপুর, নারায়ণগঞ্জ, দিনাজপুর ও রংপুর। কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর দেশি পেঁয়াজের উৎপাদন ৪২ লাখ টন ছাড়িয়েছে, যার ফলে চাহিদা পূরণে ঘাটতি হয়নি এবং বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।