ডেস্ক রিপোর্ট:
সাগরিকার হ্যাটট্রিকে অলিখিত ফাইনালে নেপালের স্বপ্নভঙ্গ, শিরোপা উৎসবে লাল-সবুজের মেয়েরা। বিমান দুর্ঘটনার শোক ছায়া ফেললেও থামেনি মাঠের গৌরব।
শিরোপা লড়াইয়ের দিন ছিল উত্তেজনায় মোড়ানো। একদিকে সমীকরণ ছিল সরল—ড্র করলেই চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, অন্যদিকে জয় চাই নেপালের। কিন্তু মাঠে নামার পর বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী দল প্রমাণ করে দেয়, ড্র নয়—তাদের লক্ষ্য ছিল জয়, আর তা এসেছে রাজকীয়ভাবেই।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা মোসাম্মৎ সাগরিকার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে নেপালকে, এক ম্যাচ হাতে রেখেই অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ।
গতবারের মতো যৌথভাবে নয়, এবার এককভাবে শিরোপা ঘরে তুলল লাল-সবুজের মেয়েরা। ভারতের অনুপস্থিতি থাকলেও বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচ হয়ে উঠেছিল অলিখিত ফাইনাল।
রাউন্ড রবিন লিগ ফরম্যাটে ম্যাচ শুরুর আগে বাংলাদেশের পয়েন্ট ছিল ১৫, আর নেপালের ১২। সমানতালে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি থাকলেও মাঠে নেমে বাংলাদেশের মেয়েরা যেন তা একাই রচনা করলেন।
খেলার ৮ মিনিটেই মাঝমাঠ থেকে একটি নিখুঁত থ্রু বল পেয়ে নেপালের রক্ষণভাগকে ছেঁদ করে যান সাগরিকা। একা এগিয়ে গিয়ে বুদ্ধিদীপ্ত প্লেসিংয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি।
এরপর প্রথমার্ধে নেপাল কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেনি। একটি গোলের সুযোগ তারা পেয়েছিল বাংলাদেশি গোলরক্ষক মিলির ভুলে, কিন্তু সাইড বারে লেগে ফিরে আসে বল।
বাংলাদেশও ব্যবধান বাড়াতে পারত, তবে মুনকি আক্তারের একটি নিশ্চিত গোল ঠেকিয়ে দেন নেপালের আনিশা রায়।
দ্বিতীয়ার্ধে সাগরিকার আধিপত্য আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। একের পর এক আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে নেপালের রক্ষণ। একাই আরও তিনটি গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে দেন ৪-০ তে। হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে নিজেকে করে তোলেন ম্যাচের নায়ক।
ম্যাচ শুরুর আগে অদূরবর্তী উত্তরা এলাকায় বিমান দুর্ঘটনায় বহু মানুষের প্রাণহানির খবরে শোক ছায়া পড়ে ফুটবল স্টেডিয়ামেও। খেলোয়াড় ও দর্শকরা এক মিনিট নীরবতা পালন করে শোক প্রকাশ করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব নুরুল হক নয়ন
✆ ০৯৬৩৮-৯০৭৬৩৬। ই মেইল: thedailydrishyapat@gmail.com
।
Copyright 2025 Pratidinerdrishyapat